বিজেপি-র সভা ঘিরে বিতর্ক শহরে

প্রশাসক বসার পরে কেটে গিয়েছে পাঁচ দিন। কিন্তু ওয়েবসাইট এখনও বলছে, বর্ধমানের পুরপ্রধান পদে রয়েছেন তৃণমূলের স্বরূপ দত্ত। পুরসভার ওয়েবসাইটে বক্তব্য ও ছবি-সহ রয়ে গিয়েছেন বিদায়ী পুরপ্রধান তথা প্রবীণ শিশু চিকিৎসক স্বরূপবাবু।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০১৮ ০৫:৩৪
Share:

সভার মাঠ। এখানেই চাপানউতোর। নিজস্ব চিত্র

বিজেপির-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সভার আগেই চাপানউতোর তৈরি হল দুর্গাপুরে। বিজেপি-র অভিযোগ, মঙ্গলবার দুপুরে মঞ্চ বাঁধার সময়ে পুলিশ কাজ বন্ধ করতে বলে। তৃণমূলের ‘চক্রান্তে’ই এই ঘটনা বলে অভিযোগ। যদিও যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল ও বিজেপি।

Advertisement

বিজেপি জানায়, আগামীকাল, বৃহস্পতিবার বিকেলে দুর্গাপুরের সগড়ভাঙায় পুরনো বিডিও অফিস লাগোয়া মাঠে সভাটি হবে। সেখানে যোগ দেওয়ার কথা দিলীপবাবু ও বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের। অভিযোগ, যে মাঠে সভাটি হবে, সেখানে এ দিন মঞ্চ বাঁধার কাজ চলছিল। কিন্তু পুলিশ কাজ বন্ধ করতে বলে।

বিজেপি নেতৃত্ব জানান, সভা-মাঠের মালিকানা রয়েছে গোপীনাথপুরের ‘মা কালী বাবা ভৈরবনাথ ট্রাস্ট’ এর নামে। ট্রাস্টের কাছে মাঠটি ব্যবহারের অনুমোদন চাওয়া হয়। গত ২৯ অক্টোবর ট্রাস্টের সম্পাদক সুশান্ত চট্টোপাধ্যায় মাঠটি ব্যবহারের লিখিত অনুমতিও দিয়েছিলেন। সেই জন্য ট্রাস্টের নামে এক হাজার টাকা বিজেপি-র তরফে অনুদান দেওয়া হয় বলে জানান দলের নেতা অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আরও জানান, ২৬ অক্টোবর দলের স্থানীয় নেতা রূপম লাহা পুলিশের কাছে সভার অনুমতি চেয়ে আবেদন জানান। ‘লাউডস্পিকার’ ব্যবহারের আলাদা অনুমতিও চান তিনি। মহকুমাশাসকের (দুর্গাপুর) কাছেও সভার জন্য অনুমতি চেয়ে আর্জি জানানো হয় বলে বিজেপি-র দাবি।

Advertisement

সোমবার থেকে ওই মাঠে সভা আয়োজনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার মঞ্চ বাঁধার কাজ শুরু হয়। আচমকা পুলিশ গিয়ে কাজ বন্ধ রাখতে বলে। অমিতাভবাবু বলেন, ‘‘প্রশাসন ও পুলিশের কাছে সভা করার অনুমতি চেয়ে আবেদন জানানো হয়েছে। ট্রাস্টও মাঠ ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে। তার পরেও এমন ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক। তৃণমূল চক্রান্ত করে সভা বানচালের চেষ্টা করছে। কিন্তু সভা হবেই।’’ বিজেপি-র অভিযোগ, এই ঘটনায় যোগ রয়েছে স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুনীল চট্টোপাধ্যায়ের। যদিও সুনীলবাবুর দাবি, ‘‘এলাকার মানুষ ও ট্রাস্টের অনেকে বিজেপি-কে ওই মাঠে সভা করতে দিতে চান না। সেটা পুলিশকে তাঁরাই জানিয়েছেন। জোর করে বিজেপি সভা করলে স্থানীয় বাসিন্দারা মঞ্চে চড়াও হবেন।’’ কাউন্সিলরের এই মন্তব্যের পরে বিজেপি-র জেলা সভাপতি লক্ষ্মণ ঘোড়ুই দাবি করেন, ‘‘তৃণমূল পুলিশকে দিয়ে এ সব করাচ্ছে। গোলমাল পাকানোর চেষ্টা করছে তৃণমূল।’’ যদিও তৃণমূলের জেলা কার্যকরী সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘‘মানুষ চাইছেন না ওই সভা। সভায় লোক হবে না বুঝেই তৃণমূলকে

মিথ্যা দোষারোপ।’’

পুলিশ যদিও জানায়, সভা করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। এ দিন কিছুক্ষণ মঞ্চ বাঁধার কাজ বন্ধ থাকলেও পরে ফের তা শুরু হয়। পুলিশ জানায়, পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন