জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনার পরে নিশানায় পুলিশ। —নিজস্ব চিত্র।
গরুবোঝাই গাড়িচালকের কাছে দাবি মতো তোলা না পেয়ে তার পিছু নেওয়ার অভিযোগ পুলিশের। শুধু তাই ন, দুই গাড়ির রেষারেষিতে প্রাণ গেল অন্তত ন’টি গরুর। অল্পবিস্তর জখম হলেন তিন পুলিশকর্মী-সহ কয়েক জন। যানজট হল রাস্তায়। মঙ্গলবার পূর্ব বর্ধমানে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কে ওই দুর্ঘটনার পরে প্রশ্নের মুখে পুলিশের ভূমিকা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সকালে শক্তিগড় থানার পুলিশের একটি গাড়ি নিয়ে টহলদারি করছিলেন কয়েক জন পুলিশকর্মী। সেই সময় কলকাতার দিকে যাওয়া একটি গরুবোঝাই গাড়িকে আটকায় পুলিশ। অভিযোগ, পুলিশের হাতে কিছু টাকা গুঁজে দেন গাড়িচালক। কিন্তু পুলিশ আরও টাকা দাবি করে। তখন কথা কাটাকাটি করে গাড়িতে স্টার্ট দিয়ে দ্রুত সেখান থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন গরুবোঝাই গাড়ির চালক। সঙ্গে সঙ্গে গাড়িটির পিছু নেয় পুলিশ।
একটা সময়ে গরুবোঝাই গাড়িটিকে টপকে তার সামনে বাধা হয়ে দাঁড়ায় পুলিশের গাড়িটি। কিন্তু নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গরুবোঝাই গাড়িটি ধাক্কা মারে পুলিশের গাড়িতে। আবার ওই গাড়িটির পিছনে গিয়ে ধাক্কা মারে পাথরবোঝাই একটি লরি। দুর্ঘটনায় তিনটি গাড়িই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জখম হয়েছেন বেশ কয়েক জন। তাঁদের মধ্যে পুলিশকর্মীও রয়েছেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, টাকা তুলতে গিয়ে মেমারি থানার কুমারডাঙায় এই দুর্ঘটনা ‘ঘটিয়েছে’ পুলিশই। ওই গাড়িটিতে ২৭টি গরু ছিল। তাদের মধ্যে ৯টি গরু মারা গিয়েছে। দুর্ঘটনার ফলে যানজটের সৃষ্টি হয় জাতীয় সড়কে। পরে পুলিশ গিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিত করে।
পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রসঙ্গে পূর্ব বর্ধমান জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অর্ক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘তদন্ত করে দেখা হচ্ছে কী করে দুর্ঘটনা হল।’’ টাকা তোলা এবং তাড়া করার অভিযোগ মানেননি তিনি। পুলিশ সুপারের কথায়, ‘‘এগুলো বলা সহজ। তদন্ত শুরু হয়েছে। দেখা যাক।’’