lock down

ব্যবস্থা ‘অমিল’, বিক্ষোভ খনিতে

ইসিএল সূত্রে জানা যায়, এই কোলিয়ারিতে প্রায় ৩৫০ জন শ্রমিক রয়েছেন। দিনে গড়ে প্রায় ১,৫০০ কুইন্টাল কয়লা উত্তোলন হয়। এ দিন বেলা ১১টা নাগাদ কোলিয়ারিতে গিয়ে দেখা গেল, খনিমুখে জড়ো হয়েছেন শ্রমিকদের একাংশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আসানসোল শেষ আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০২০ ০৪:৩০
Share:

কয়লা উত্তোলন বন্ধ করে দিয়ে বিক্ষোভ মিঠানিতে। নিজস্ব চিত্র

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে না কোলিয়ারি—শুক্রবার এই অভিযোগে ইসিএলের মিঠানি কোলিয়ারিতে প্রায় ছ’ঘণ্টা কয়লা উত্তোলন বন্ধ রেখে বিক্ষোভ দেখালেন শ্রমিকেরা। প্রতিটি কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠনের সমন্বয়ে তৈরি ‘জয়েন্ট কো-অর্ডিনেশন কমিটি’ও এই বিক্ষোভে যোগ দেয়।

Advertisement

ইসিএল সূত্রে জানা যায়, এই কোলিয়ারিতে প্রায় ৩৫০ জন শ্রমিক রয়েছেন। দিনে গড়ে প্রায় ১,৫০০ কুইন্টাল কয়লা উত্তোলন হয়। এ দিন বেলা ১১টা নাগাদ কোলিয়ারিতে গিয়ে দেখা গেল, খনিমুখে জড়ো হয়েছেন শ্রমিকদের একাংশ। খনিতে নামার ‘ডুলি’ চালাতে দেওয়া হচ্ছে না। আইএনটিইউসি নেতা নবকুমার মাঝির ক্ষোভ, ‘‘শ্রমিকদের গায়ে গা লাগিয়ে কাজ করতে হচ্ছে। পরস্পরের থেকে দূরত্ব রক্ষিত হচ্ছে না। কর্তৃপক্ষকে বহু বার বলা হলেও খনি চত্বরে ছড়ানো হয়নি জীবাণুনাশক।’’ একই অভিযোগ কেকেএসসি নেতা অজিত সিংহেরও। পাশাপাশি, শ্রমিকদের জন্য ‘মাস্ক’ ও ‘হ্যান্ড স্যানিটাজ়ার’-এর ব্যবস্থাও করা হয়নি বলে অভিযোগ।

বিক্ষোভকারীরা জানান, ‘বাতিঘর’ ও ‘ক্যাপল্যাম্প’গুলি জীবাণুমুক্ত না করাটাই সব থেকে বিপজ্জনক। কারণ, খনিগর্ভে নামার আগে প্রত্যেক শ্রমিককে টুপিতে লাগানো বাতি নিয়ে নামতে হয়। এই বাতিগুলি একটি ঘরে পরপর রাখা থাকে। যেহেতু বাতিগুলিতে শ্রমিকদের নাম লেখা থাকে না, তাই একটি বাতি অনেকেই ব্যবহার করেন।

Advertisement

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে কোলিয়ারির ম্যানেজার মনোজ কুমারের দাবি, ‘‘সরকারি নির্দেশিকা মেনে যাবতীয় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা করা হয়েছে।’’ কোলিয়ারির পার্সোনেল ম্যানেজার শমীক মজুমদারের বক্তব্য, ‘‘জীবাণুনাশক ছড়ানো, মাস্ক ও স্যানিটাইজ়ার বিলি করা হয়েছে। তার পরেও কাজ বন্ধ রেখে বিক্ষোভ করা হচ্ছে।’’ তবে এ বিষয়ে শ্রমিক নেতাদের প্রতিক্রিয়া, ‘‘আমরা জানি, কয়লা উত্তোলন অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু শ্রমিক-নিরাপত্তাও কিছু কম জরুরি নয়।’’

খনি-কর্তারা জানান, তাঁরা আরও কিছু পদক্ষেপ করছেন। দুপুর ১টা নাগাদ জীবাণুনাশক ছড়ানো শুরু হয়। তার পরে শ্রমিকেরা কাজে যোগ দেন বলে খনি সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে ওই সূত্রের দাবি, এ দিন বিক্ষোভের জেরে দীর্ঘ সময় কাজ বন্ধ থাকায় দৈনিক কয়লা উত্তোলন সাধারণ দিনের থেকে অনেকটাই কম হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন