Asansol

করোনা ঠেকাতে তৈরি আইসোলেশন ওয়ার্ড

চিত্তরঞ্জন লোকোমোটিভ ওয়ার্কর্স (সিএলডব্লিউ) সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবারের মধ্যেই যাবতীয় পদক্ষেপ করা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আসানসোল শেষ আপডেট: ১১ মার্চ ২০২০ ০১:৩৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

করোনাভাইরাস ঠেকাতে আসানসোল শিল্পাঞ্চলের রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পক্ষেত্রে নানা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে মঙ্গলবার পর্যন্ত নির্দিষ্ট করে বিশেষ কোনও পদক্ষেপ করার কথা জানাতে পারেনি ইসিএল।

Advertisement

চিত্তরঞ্জন লোকোমোটিভ ওয়ার্কর্স (সিএলডব্লিউ) সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবারের মধ্যেই যাবতীয় পদক্ষেপ করা হয়েছে। কারখানার জনসংযোগ আধিকারিক মন্তার সিংহ জানান, পুরুষ ও মহিলাদের জন্য পৃথক দু’টি চার শয্যার আইসোলেশন ওয়ার্ড তৈরি করা হয়েছে। করোনা-উপসর্গ নিয়ে রোগী এলে দ্রুত তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষার সব রকম ব্যবস্থা রয়েছে। পাশাপাশি, গত শনিবার থেকে সংস্থায় বায়োমেট্রিক হাজিরা সাময়িক স্থগিত রাখার কথা জানানো হয়েছে।

একই ভাবে পূর্ব রেলের আসানসোল ডিভিশনও জানায়, আসানসোল ডিভিশনাল হাসপাতালে উপযুক্ত পরিকাঠামো বিশিষ্ট একটি আইসোলেশন ওয়ার্ড খোলা হয়েছে। হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা রেল কলোনি ও রেল স্টেশনগুলিতে এই ভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতা প্রচার চালাচ্ছেন। রেলের আশা, এর ফলে, রেলকর্মীদের পাশাপাশি, সাধারণ যাত্রীরাও ভাইরাসটি প্রতিরোধে কী কী করা দরকার, তা জানতে পারছেন।

Advertisement

বার্নপুর হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ড বানানো হয়েছে, মঙ্গলবার জানিয়েছেন বার্নপুরের ইস্কোর স্বাস্থ্য দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডিজিএম অমরেশ আনন্দ। পাশাপাশি, ভাইরাসের হামলা থেকে বাঁচতে কী কী করণীয় তা শ্রমিকদের জানানো হচ্ছে। তবে এখানেও সাময়িক ভাবে বায়োমেট্রিক হাজিরা বন্ধের দাবি করেছেন শ্রমিকদের একাংশ। তবে এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান ইস্কো কর্তৃপক্ষ।

তবে মঙ্গলবারেও করোনাভাইরাস ঠেকাতে কী কী পদক্ষেপ করা হচ্ছে, সে বিষয়ে নির্দিষ্ট কিছু জানাতে পারেনি ইসিএল। যদিও ইসিএল সূত্রে জানা যায়, সংস্থার সাঁকতোড়িয়া ও কাল্লা সেন্ট্রাল হাসপাতাল এবং এরিয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলির চিকিৎসকদের নিয়ে গত সোমবার বৈঠক হয়েছে। আইসোলেশন ওয়ার্ড তৈরির জন্য প্রত্যেকের কাছ থেকে মতামত চাওয়া হয়েছে। ইসিএলের চিফ মেডিক্যাল সুপারিন্টেন্ডেন্ট সুশান্ত সিংহ বলেন, ‘‘আইসোলেশন ওয়ার্ড খোলার বিষয়ে শাঁকতোড়িয়া হাসপাতালের পরিকাঠামো পরীক্ষা করা হচ্ছে।’’ কর্তৃপক্ষের দাবি, সোম ও মঙ্গলবার যথাক্রমে দোল, হোলির কারণে ছুটি থাকায় পদক্ষেপ করা যায়নি। তবে দু’-এক দিনের মধ্যেই পরিকাঠামো তৈরির কাজ শেষ হবে।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ভাইরাস প্রতিরোধে গত ৭ মার্চ বৈঠক করেন জেলাশাসক (পশ্চিম বর্ধমান) শশাঙ্ক শেঠি। বৈঠকে তিন দিনের মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলিকে পরিকাঠামো তৈরি করে জেলা প্রশাসনের কাছে রিপোর্ট দেওয়ার পরামর্শ দেন জেলাশাসক। তবে সংস্থার আধিকারিকেরা আগেই জানিয়েছিলেন, সোমবার দোল উৎসব উপলক্ষে ছুটি থাকায় মঙ্গলবারের মধ্যে পরিকাঠামো তৈরির কাজ শেষ করা হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন