Gopinath Fair

অগ্রদ্বীপের মেলা নিয়ে বাড়ছে চিন্তা

বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হতে চলেছে রাজ্যের অন্যতম বড় মেলা। বিভিন্ন জেলার মানুষ তো বটেই ভিন রাজ্য থেকেও অনেকে হাজির হন মেলায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ মার্চ ২০২০ ০২:০১
Share:

পরিদর্শনে এসপি। নিজস্ব চিত্র

কনোরাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার। যে কোনও জমায়েত, সভা-সমিতি, মেলা বন্ধ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দেশ-বিদেশে অনেক ধর্মীয় সমাবেশ বা মেলা ইতিমধ্যে বাতিলও করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে উদ্বেগ বাড়ছে অগ্রদ্বীপের গোপীনাথ মেলা নিয়ে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হতে চলেছে রাজ্যের অন্যতম বড় মেলা। বিভিন্ন জেলার মানুষ তো বটেই ভিন রাজ্য থেকেও অনেকে হাজির হন মেলায়। পাঁচশোর বেশি আখড়া বসে। রাতভর বাউল গান হয়। গত বারও কয়েক লক্ষ মানুষের ভিড় হয়েছিল মেলায়। স্থানীয় লোকজনের আশঙ্কা, আগত মানুষজনের এক জনও যদি আক্রান্ত হন বা রোগের উপসর্গ থাকে, তাহলেই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার প্রবল সম্ভাবনা থাকবে। বিষয়টি নিয়ে চিন্তায় প্রশাসনও। স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করেছেন কর্তারা। মেলা কমিটির সম্পাদক অশোক ঘোষ বলেন, ‘‘আমরা কাউকে আসতে বলছি না। কাউকে নিষেধও করতে পারছি না। প্রশাসন যা সিদ্ধান্ত নেবে সেটাই মেনে নেব।’’

সোমবার থেকেই রাজ্যের সমস্ত স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় কার্যত বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ১৫ এপ্রিল পর্য়ন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আদালতের ক্ষেত্রেও রাশ টানা হয়েছে শুনানিতে। তবে অগ্রদ্বীপে মেলা বন্ধের কোনও ইঙ্গিত তাদের কাছে নেই বলে জানিয়েছে জেলা পুলিশের কর্তারা। সোমবার কাটোয়া গিয়েছিলেন পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায়। মেলার উদ্যোক্তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। জানা গিয়েছে, মেলা উপলক্ষ্যে প্রায় সাড়ে সাতশো পুলিশকর্মীকে তিন দিন অগ্রদ্বীপে কাটাতে হবে। তাঁদের নিয়েও চিন্তায় পুলিশ মহল। ওই সব পুলিশকর্মীদের মাস্ক ও স্যানিটাইজ়ার দেওয়ার চিন্তাভাবনা চলছে।

Advertisement

ফি বছর গোপীনাথের মেলায় আখড়া করেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। তিনি বলেন, “খোলা জায়গায় মেলা হয়। বন্ধ করব বললেই তো আর লোকজন আসা বন্ধ করবেন না। প্রশাসনকে সচেতন করতে হবে। আখড়াগুলিকেও সচেতন হতে হবে। আমরা ভাগীরথীর চরে দাঁড়িয়ে মাস্ক বিলি করব বলে ঠিক করেছি।’’

রবিবার বিকেলে মেলার মাঠ, ফেরিঘাট ঘুরে এসেছেন কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। সোমবার তিনি বলেন, “আমরাও খুব উদ্বিগ্ন। স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছি। আমাদের সবাইকে সতর্ক ও সচেতন থাকতে হবে।’’

কাটোয়ার মহকুমাশাসক প্রশান্তরাজ শুক্ল বলেন, “মেলা হলে লোক সমাগম হবেই। কী ভাবে সেখানে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকানো যায়, তা নিয়ে স্বাস্থ্য দফতরের সতর্ক করবে, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement