Coronavirus in West Bengal

বাড়িতে উপায় নেই, পৃথক করে রাখছে সংস্থাই

সংগঠনের কর্তাদের দাবি, অন্য রাজ্য থেকে কেউ ঘরে ফিরতে না পারলেও প্রায় দিনই অন্য ব্লক বা জেলা থেকে গ্রামে আসছেন এলাকার লোকজন।

Advertisement

কাজল মির্জা

গলসি শেষ আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০২০ ০০:৩৩
Share:

এই ভবনেই গড়া হয়েছে ‘কোয়ারান্টিন’ কেন্দ্র। নিজস্ব চিত্র

ভিন্ জেলা থেকে হেঁটে ফিরছেন গ্রামের অনেকেই। তাঁদের বেশির ভাগই গরিব, পরিযায়ী শ্রমিক। সরকারি নির্দেশ মেনে ১৪ দিন ‘হোম কোয়রান্টিন’-এ থাকার কথা তাঁদের। কিন্তু অনেক বাড়িতেই সেই সংস্থান নেই। এলাকাবাসীর উদ্বেগ কমাতে এগিয়ে এসেছে গলসি ১ ব্লকের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। ব্লক প্রশাসনের অনুমতিতে গ্রামের নির্মীয়মাণ একটি ছাত্রাবাসেই নিভৃতবাস কেন্দ্র তৈরি করেছেন তাঁরা। সেখানে থাকা মানুষজনের খাওয়াদাওয়ার দায়িত্বও নিয়েছেন তাঁরাই।

Advertisement

সংগঠনের কর্তাদের দাবি, অন্য রাজ্য থেকে কেউ ঘরে ফিরতে না পারলেও প্রায় দিনই অন্য ব্লক বা জেলা থেকে গ্রামে আসছেন এলাকার লোকজন। তাঁদের খুঁজে এনে এই ‘কোয়রান্টিন’ কেন্দ্রে রাখা হচ্ছে। ১৪ দিন নজরে রাখা হচ্ছে তাঁদের। তার মধ্যে কারও ‘বিশেষ’ উপসর্গ দেখা দিলে তাঁকে হাসপাতালে পাঠানো হবে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গলসি ১ ব্লকের গৌরমহল, পাণ্ডদহ, বেলেডাঙা, কৃষ্ণরামপুর, কসবা, মৌগ্রাম-সহ ওই এলাকার একাধিক গ্রামের বাসিন্দারা কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, হুগলিতে কাজ করেন। কেউ নির্মাণ শ্রমিক, কেউ জরি শিল্পে কেউ বা সোনা-রুপোর গয়নার দোকানে কাজ করেন। প্রথম দফার ‘লকডাউন’-এর সময়ে তাঁরা অনেকেই বাড়ি ফেরেননি। কিন্তু ঘরবন্দি থাকার সময় বাড়ায় অর্থাভাব, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের অভাবে হেঁটে, সাইকেলে ঘরে ফিরছেন তাঁদের অনেকেই।

Advertisement

গত দশ দিনে ওই এলাকায় সাত জন ফিরে এসেছেন বলেও দাবি ওই সংগঠনের। সংগঠনের এক কর্তা তথা তৃণমূলের ব্লক সভাপতি শেখ জাকির হোসেন বলেন, “অনেকের বাড়িতে আলাদা থাকার মতো ঘর, আলাদা খাওয়া বা আলাদা শৌচাগারের ব্যবস্থা নেই। তাঁরা পরিবারের সঙ্গেই থাকছেন, বাইরে যাচ্ছেন। ফলে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকছেই। এটা যাতে না হয়, সে কারণেই কোয়রান্টিন সেন্টারটি চালু করা হয়েছে।” তিনি জানান, ব্লক প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে কৃষ্ণরামপুর গ্রামে নির্মীয়মাণ ছাত্রাবাসে নিভৃতবাস কেন্দ্র গড়া হয়েছে। আপাতত আট জন রয়েছেন সেখানে। প্রত্যেককে আলাদা ঘরে রাখা হয়েছে। গ্রামেরই তিন জন নিরাপত্তার দিকটা দেখছেন।

গলসি ১-এর বিডিও বিনয়কুমার মণ্ডল বলেন, “যাঁদের হোম কোয়রান্টিনে থাকার কথা অথচ বাড়িতে সেই ব্যবস্থা নেই, তাঁরা উপকৃত হবেন। সংক্রমণ রোখাও যাবে। খুব ভাল উদ্যোগ।’’ ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক শেখ ফারুক হোসেনেরও দাবি, ‘‘খুবই ভাল কাজ। কিন্তু যাঁরা আছেন তাঁদের নিয়মিত স্বাস্থ্যপরীক্ষা করাতে হবে। কিছু উপসর্গ পেলেই হাসপাতালে যোগাযোগ করতে হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন