Coronavirus in West Bengal

সচেতনতা শিকেয়, ভাঙা ব্যারিকেড

বাঁশের ব্যারিকেড টপকেই প্রতিনিয়ত যাতায়াত চলছে। কোথাও ব্যারিকেড ভেঙে ভ্যান বা গাড়ি নিয়ে যাতায়াত করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাটোয়া শেষ আপডেট: ০১ অগস্ট ২০২০ ০২:১১
Share:

বাঁশের ব্যারিকেড ভেঙে পড়েছে রাস্তায়। গণ্ডিবদ্ধ এলাকায় অবাধে যাতায়াত। কাটোয়ার টেলিফোন ময়দানের কাছে। নিজস্ব চিত্র

cap- বাঁশের ব্যারিকেড ভেঙে পড়েছে রাস্তায়। গণ্ডিবদ্ধ এলাকায় অবাধে যাতায়াত। কাটোয়ার টেলিফোন ময়দানের কাছে। নিজস্ব চিত্র

Advertisement

আক্রান্তের সঙ্গে গণ্ডিবদ্ধ এলাকা বাড়ছে কাটোয়ায়। কিন্তু হুঁশ ফিরছে না একাংশ শহরবাসীর, এমনই অভিযোগ। বারবার সচেতনতা প্রচার, ‘লকডাউন’ করার পরেও অনাদিবাবুরবাগান, ঘুটকিয়াপাড়া, কাছারি রোড, কেশিয়া, কলেজ মাঠপাড়া, জেলে পাড়ার মতো এলাকায় বাঁশের ব্যারিকেড টপকেই প্রতিনিয়ত যাতায়াত চলছে। কোথাও ব্যারিকেড ভেঙে ভ্যান বা গাড়ি নিয়ে যাতায়াত করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ।

শুক্রবার সকালে স্টেশনবাজার, কাছারি রোড, লেনিন সরণি থেকে শুরু করে সার্কাস ময়দান, নিচুবাজার, বড় বাজারের মতো জনবহুল এলাকা ও আনাজ-মাছ বাজারে স্বাস্থ্য-বিধি না মেনেই রাস্তায় নামতে দেখা যায় অনেককে। পুলিশের নজরদারি তুলনায় কম থাকায় বহু দোকানেও ‘মাস্ক’ থুতনিতে নামিয়ে কখনও বা কানে ঝুলিয়ে গাদাগাদি করে কেনাকাটা করতে দেখা যায়। শহরবাসীর একাংশের মতে, ভাইরাস নয়, পুলিশকে ভয় পায় মানুষ। তাই ‘লকডাউন’ না থাকলেও প্রতিদিন পুলিশের কড়া নজরদারির দাবি করেছেন তাঁরা।

Advertisement

বেলতলা, টেলিফোন ময়দান-সহ কয়েকটি গণ্ডিবদ্ধ এলাকার সামনেও দেখা যায় সমস্ত নিষেধাজ্ঞা উড়িয়ে অবাধ যাতায়াত চলছে। লাগাতার চলাচলে বাঁশের ব্যারিকেড কোথাও রাস্তায় নুইয়ে পড়েছে, আবার কোথাও উধাও হয়ে গিয়েছে। টেলিফোন ময়দান এলাকায় বাঁশের ব্যারিকেডটি কার্যত ভেঙে গিয়ে রাস্তায় মিশে গিয়েছে। তার উপর দিয়েই মানুষজন যাওয়া-আসা করছেন। ওই এলাকার বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, প্রশাসনের তরফ থেকে প্রচারের করা হলেও এলাকায় সচেতনতা নেই। কাজে-অকাজে যাতায়াত চলছেই।

কাটোয়ার বিধায়ক তথা পুর প্রশাসক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমাদের কর্মীরা ঝুঁকি নিয়ে ‘কন্টেনমেন্ট’ জ়োনের বাড়িতে গিয়ে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পৌঁছে দিচ্ছেন। কিন্তু বারবার বলা সত্বেও কিছু মানুষ স্বাস্থ্যবিধি ও প্রশাসনের নির্দেশ মানছেন না বলেই সমস্যা দিন-দিন বাড়ছে।’’ মহকুমাশাসক (কাটোয়া) প্রশান্তরাজ শুক্ল বলেন, “করোনাকে হারাতে গেলে সচেতনতা সব থেকে বড় অস্ত্র। গণ্ডিবদ্ধ এলাকায় চলাচল বন্ধ করতে আরও প্রচার চালান হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন