COVID-19

যৌথ উদ্যোগে কোভিড হাসপাতাল

সূত্রের খবর, আসানসোল জেলা হাসপাতাল-সহ অন্য সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে শয্যার অভাব দেখা যাচ্ছে।

Advertisement

সুশান্ত বণিক

আসানসোল শেষ আপডেট: ০৯ মে ২০২১ ০৫:৪০
Share:

পরিদর্শনে জেলা প্রশাসন এবং ইস্কো-র কর্তারা। নিজস্ব চিত্র।

ইস্কোর সঙ্গে যৌথ ভাবে আসানসোলে ২৫০ শয্যার কোভিড হাসপাতাল তৈরি করার কথা জানাল পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রশাসন। এর জন্য জায়গা চিহ্নিত করে, পরিকাঠামো উন্নতির কাজও শুরু হয়েছে। ইস্কো ছাড়াও স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসকের প্রয়োজন মেটাতে কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতালেরও সাহায্য নেওয়া হচ্ছে, জানান জেলাশাসক (পশ্চিম বর্ধমান) বিভু গোয়েল।

Advertisement

সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোভিড হাসপাতালগুলির পরিকাঠামো উন্নয়ন, প্রয়োজনে আরও কোভিড হাসপাতাল তৈরির বিষয়ে জেলাগুলিকে নির্দেশ দিয়েছেন। জেলাশাসক জানান, এই নির্দেশের পরেই এ বিষয়ে তোড়জোড় শুরু হয়। বার্নপুরের নিউটাউনে ইস্কোর একটি স্কুল ভবনকে হাসপাতাল তৈরির জন্য দেওয়া হয়েছে। শনিবার সেখানে জেলাশাসকের নেতৃত্বে জেলা প্রশাসন ও ইস্কোর আধিকারিকেরা পরিদর্শন করেন। জেলাশাসক বলেন, ‘‘সাত থেকে দশ দিনের মধ্যে হাসপাতালটি চালুর লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। প্রয়োজন মতো শয্যা সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে।’’ ইস্কোর ইডি (পি অ্যান্ড এ) অনুপ কুমার বলেন, ‘‘জেলা প্রশাসনের চাহিদা মতো, এই ‘জাম্বো কোভিড হাসপাতাল’ গড়তে সব ধরনের পরিকাঠামো তৈরি করছে ইস্কো।’’ ভবনটিতে ৫০০ শয্যা পর্যন্ত হাসপাতাল তৈরির পরিকাঠামোর ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে বলে ইস্কো সূত্রে জানা গিয়েছে।

ভবনে হাসপাতাল তৈরির পরিকাঠামো গড়ার কাজের দেখভালের দায়িত্বে রয়েছেন ইস্কোর সিজিএম (‌মেকানিক্যাল) দীপ্তাংশু ঘোষ। তিনি জানান, ভবনটি ইস্কো-র খুব কাছে হওয়ায় কারখানার অক্সিজেন প্ল্যান্ট থেকে ১৫০ মিলিমিটার পাইপের সাহায্যে প্রতিটি শয্যায় সরাসরি অক্সিজেন সরবরাহ করা যাবে। হাসপাতালে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়মিত রাখতে জেনারেটরের ব্যাবস্থা হচ্ছে। রোগীদের ওঠা-নামার জন্য অস্থায়ী র‌্যাম্প বসানো হচ্ছে। দীপ্তাংশুবাবু বলেন, ‘‘এখানে ইস্কোর শ্রমিকরা ছাড়া জেলার নানা প্রান্তের করোনা রোগীরা স্বাস্থ্য পরিষেবা পাবেন।’’

Advertisement

ঘটনাচক্রে, প্রতি দিন করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার হাসপাতালগুলি সমস্যায় পড়ছে। সূত্রের খবর, আসানসোল জেলা হাসপাতাল-সহ অন্য সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে শয্যার অভাব দেখা যাচ্ছে। অক্সিজেন-সঙ্কটও দেখা যাচ্ছে বলে অভিযোগ রোগীর পরিজনদের। এই পরিস্থিতিতে এমন হাসপাতাল কিছুটা হলেও সমস্যা সমাধান করতে পারে বলে আশায় শিল্পাঞ্চলবাসী।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন