Corona

মাস্ক না পরায় ধরপাকড়, প্রশ্ন দূরত্ব-বিধি নিয়ে

নাগরিকদের অনেকের দাবি, যেখানে দূরত্ব-বিধি মেনে চলার জন্য প্রশাসনের তরফে প্রচার করা হচ্ছে, সেখানে এ ভাবে গাদাগাদি করে আটকদের নিয়ে যাওয়া কাম্য নয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

শেষ আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০২১ ০৬:৪৯
Share:

মুখ আঢাকা রেখে পথে বেরনোয় আটক। মঙ্গলবার কাটোয়ায়। নিজস্ব চিত্র।

প্রথমে দু’দিন সচেতনতা প্রচার, তাতে কাজ না হলে ধরপাকড় হবে— মাস্ক না পরে রাস্তায় নামা নিয়ে এমন ব্যবস্থার কথা আগেই জানিয়েছিল পুলিশ। সে অনুযায়ী, রবি ও সোমবার প্রচারের পরে মঙ্গলবার ধরপাকড় শুরু হয়। এ দিন কাটোয়ার নানা জায়গা থেকে মাস্ক-হীন অবস্থায় রাস্তায় বেরনোর অভিযোগে জনা কুড়িকে আটক করে পুলিশ। কিন্তু এত জনকে এক সঙ্গে একটি গাড়িতে তুলে গাদাগাদি করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

Advertisement

নাগরিকদের অনেকের দাবি, যেখানে দূরত্ব-বিধি মেনে চলার জন্য প্রশাসনের তরফে প্রচার করা হচ্ছে, সেখানে এ ভাবে গাদাগাদি করে আটকদের নিয়ে যাওয়া কাম্য নয়। এর জেরে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে বলেও মনে করছেন অনেকে। পুলিশের অবশ্য দাবি, আটক করার পরে, প্রত্যেককে মাস্ক এবং হাতে স্যানিটাইজ়ার দেওয়া হয়। আলাদা-আলাদা ভাবে নিয়ে যাওয়া সম্ভব না হওয়ায় এক গাড়িতে নিয়ে যেতে হয়েছে। তবে গাদাগাদি করে বসানো হয়েছে, এ কথা মানতে চায়নি পুলিশ।

করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় কাটোয়ায় দুই ব্যবসায়ী সংগঠন মাস্ক ছাড়া, কোনও ক্রেতাকে জিনিসপত্র বিক্রি না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ‘কাটোয়া মহকুমা ব্যবসায়ী সমিতি’ ও ‘কাটোয়া মহকুমা ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর তরফে সব সদস্যকে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে। শহরবাসীর অনেকের অভিযোগ, হাট-বাজার থেকে অফিস-আদালত, সর্বত্রই কিছু মানুষকে মাস্ক ব্যবহার করতে দেখা যাচ্ছিল না। এ ছাড়া, ভোট-মরসুমে নানা দলের কর্মসূচিতেও ভিড় উপচে পড়ে। এ সবের ফলে করোনা সংক্রমণ বেড়েছে। গত রবিবার দুই ব্যবসায়ী সংগঠনের কর্তারা পুলিশ-প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। তার পরেই ক্রেতা-বিক্রেতাদের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা, প্রতিটি দোকানের সামনে মাস্ক ছাড়া জিনিস বিক্রি বন্ধের নোটিস দেওয়া, দোকানে ঢোকার মুখে হাতে স্যানিটাইজ়ার দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।

Advertisement

কাটোয়ার বাসিন্দা মানস ভট্টচার্য বলেন, ‘‘ফের সংক্রমণ বাড়লেও হুঁশ নেই কিছু ক্রেতা-বিক্রেতার। তাই ব্যবসায়ী সংগঠনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই।’’ দুই ব্যবসায়ী সংগঠনের কর্তা বিদ্যুৎ নন্দী ও সুশীল সরকার বলেন, ‘‘কোনও মতেই মাস্ক ছাড়া, কাউকে দোকানে ঢুকতে দেওয়া যাবে না। মানতে হবে অন্য স্বাস্থ্য-বিধিও। এই সিদ্ধান্ত প্রতিটি সদস্যকে জানানো হয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement