Coronavirus

বাড়িতে ওষুধ দিতে ব্যবস্থা গুসকরায়

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েকদিনে রাস্তায় বেরনো লোকজনকে আটকানো হলে তাঁদের মধ্যে অনেকেই প্রেসক্রিপশন দেখিয়ে দাবি করেন, ওষুধ কিনতে বেরিয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গুসকরা শেষ আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০২০ ০৩:০১
Share:

প্রতীকী ছবি

ওষুধ কেনার নাম করে ‘লকডাউন’-এর মধ্যে রাস্তায় বেরিয়ে পড়ছেন অনেকেই, দাবি করছিলেন পুলিশ-প্রশাসনের কর্তারা। তা আটকাতে গুসকরায় বাসিন্দাদের বাড়িতে ওষুধ পৌঁছে দিতে উদ্যোগী হলেন ওষুধ বিক্রেতারা। বিক্রেতাদের একটি সংগঠনের তরফে লিফলেট বিলি করে এলাকাবাসীকে এ কথা জানানো হচ্ছে। এলাকার নানা ওষুধের দোকানের মাধ্যমেও প্রচার চালানো হচ্ছে বলে জানান সংগঠনের কর্তারা।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েকদিনে রাস্তায় বেরনো লোকজনকে আটকানো হলে তাঁদের মধ্যে অনেকেই প্রেসক্রিপশন দেখিয়ে দাবি করেন, ওষুধ কিনতে বেরিয়েছেন। এর পরেই ওষুধ বিক্রেতাদের সংগঠন ‘বেঙ্গল কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট অ্যাসোসিয়েশন’-এর সঙ্গে বৈঠক করে বাড়িতে ওষুধ পৌঁছনোর উদ্যোগের অনুরোধ জানায় পুলিশ। সংগঠনের গুসকরা শাখার সম্পাদক সঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ওষুধ কেনার অজুহাতে বাইরে বেরনো রুখতেই এমন একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আপাতত গুসকরা পুরসভা এলাকায় এই পরিষেবা দেওয়া হবে। এলাকার ওষুধের দোকানে ফোন করে বা হোয়াটস্‌অ্যাপের মাধ্যমে কোন ওষুধ প্রয়োজন, তা জানালেই বাড়িতে তা পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।’’

তবে ক্রেতাদের একাংশের দাবি, অনেকের কাছেই স্থানীয় ওষুধ দোকানের ফোন নম্বর নেই। তাই গোড়ায় এই পরিষেবা পেতে সমস্যা হবে। তা ছাড়া, অল্প ওষুধ নিতে চাইলে তা সংশ্লিষ্ট বিক্রেতা বাড়িতে পৌঁছে দেবেন কি না, সে নিয়েও সংশয়ে অনেকে। আশপাশের গ্রাম থেকে অনেকে ওষুধ কিনতে গুসকরায় আসেন। সেই সব এলাকায় বিক্রেতারা পরিষেবা দিতে চাইবেন কি না, সে নিয়েও ধন্দে বাসিন্দারা। তবে এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে ‘গুসকরা নাগরিক সুরক্ষা সমিতি’র কর্তা তপন মাজি বলেন, “এই পরিষেবা আরও আগে চালু করলে ভাল হত। যে সব বাড়িতে বয়স্ক মানুষ রয়েছেন বা পরিবারের সদস্য সংখ্যা কম, তাঁদের সুবিধা হবে।’’

Advertisement

ওষুধ বিক্রেতা সুদেব রায়, সঞ্জীব গোস্বামীরা জানান, ‘লকডাউন’ চলাকালীন দোকানে তেমন চাপ না থাকায় এলাকার বাসিন্দাদের বাড়িতে ওষুধ পৌঁছে দেওয়ায় অসুবিধা হবে না। প্রাথমিক পর্যায়ে পুরসভায় সাফল্যের সঙ্গে এই কাজ করা গেলে পরে গ্রামীণ এলাকাতেও তা চালুর ব্যাপারে ভাবনাচিন্তা করা হবে বলে সংগঠনের আশ্বাস।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন