Coronavirus

করোনার জেরে মাথায় হাত পর্যটন সংস্থার

বৃহস্পতিবারই উত্তরাখণ্ডের চৌকরিতে আসানসোলের একটি দলের আটকে পড়ার ঘটনা সামনে এসেছে সংবাদমাধ্যমে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ মার্চ ২০২০ ০০:০০
Share:

প্রতীকী ছবি

মেয়ের পরীক্ষা শেষে সপরিবার ডুয়ার্স, জলদাপাড়া যাওয়ার কথা ছিল স্বাস্থ্য দফতরের কর্মী পরিমলেন্দু ঘোষের। কিন্তু করোনাভাইরাস সংক্রান্ত পরিস্থিতিতে সব পরিকল্পনা ভেস্তে গিয়েছে। এমন ঘটনা জেলা জুড়েই ঘটেছে। এই পরিস্থিতিতে মাথায় হাত জেলার বিভিন্ন পর্যটন সংস্থাগুলির।

Advertisement

বৃহস্পতিবারই উত্তরাখণ্ডের চৌকরিতে আসানসোলের একটি দলের আটকে পড়ার ঘটনা সামনে এসেছে সংবাদমাধ্যমে। সে কথা মনে করেই পরিমলেন্দুবাবু ফোনে বলছিলেন, ‘‘বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা বাতিল হওয়ায় খারাপ লাগছে। আর্থিক ক্ষতিও হল। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে বাড়িতে থাকাটাই একমাত্র পথ।’’

একই কথা বলছে বিভিন্ন ভ্রমণ সংস্থাগুলি। কিন্তু পাশাপাশি, সংস্থাগুলির চিন্তা, ক্ষতির ধাক্কা কী ভাবে সামলানো যাবে। শিল্পাঞ্চলের একটি ভ্রমণ সংস্থার কর্ণধার বিশ্বজিৎ সান্যাল বলেন, ‘‘অত্যন্ত খারাপ অবস্থা আমাদের। কিন্তু কিছু করার নেই। যা ক্ষতি হল, তাতে এই ধাক্কা কাটাতে অনেক সময় লাগবে।’’

Advertisement

কেন সময় লাগবে, সে ব্যাখ্যাও দিয়েছেন বিশ্বজিৎবাবুরা। তাঁরা জানান, এক বার বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনার শুরু থেকে শেষ, এই সময়পর্ব আনুমানিক পাঁচ মাস। পর্যটকদের ট্রেন বা বিমানের টিকিট কাটা থেকে পর্যটনস্থলের হোটেল, গাড়ি বুকিং ইত্যাদিতেই বেশি সময় চলে যায়। কিন্তু এখন যা অবস্থা তাতে আগামী ছ’মাসের মধ্যে কোনও নতুন পরিকল্পনা নেওয়া সম্ভব নয়। বিশ্বজিৎবাবু বলেন, ‘‘এই মুহূর্তে নেপাল, কেরল, অরুণাচলপ্রদেশে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা বাতিল করতে হয়েছে।’’

সাধারণত মার্চ ও এপ্রিলের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ-সহ অন্য কেন্দ্রীয় বোর্ডের পরীক্ষা শেষ হয়ে যায়। ফলে, এই সময়ে বেড়াতে যাওয়ার হিড়িক পড়ে। সেইমতো এ বারেও বাজার বেশ জমে উঠেছিল। এ বার নেপাল, আন্দামান, গ্যাংটক, করবেট পার্কে ঘুরতে যাওয়ার ‘বুকিং’ বেশ ভালই হয়েছিল বলে জানিয়েছেন শিল্পাঞ্চলের আর একটি ভ্রমণ সংস্থার মালিক বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, বুকিং পর্যটকদের টাকা ফেরত দিয়েছি। কিন্তু হোটেল, গাড়ি বুকিংয়ের অগ্রিম টাকা ফেরত পাইনি।’’

এ বার হিমাচলপ্রদেশ, গ্যাংটক, আন্দামান ও রাজস্থানের যাওয়ার জন্য বহু পর্যটক পেয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন চিত্তরঞ্জনের একটি ভ্রমণ সংস্থার মালিক। কিন্তু তাঁকেও সব পরিকল্পনা বাতিল করতে হয়েছে। লকডাউন পরিস্থিতিতে তিনি বলেন, ‘‘জানি না, কবে বাজার আবার আগের অবস্থায় ফিরবে।’’

অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement