Bardhaman

গত ভোটের পুনরাবৃত্তি নয়, বার্তা সিপিএমে

বর্ধমান শহরের সিপিএম কর্মীদের একাংশের দাবি, নেতৃত্ব প্রার্থী প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত না নিলে তৃণমূল ২০১৩ সালের পুরভোটে শহরে ‘ফাঁকা ময়দান’ পেত না। 

Advertisement

সৌমেন দত্ত

বর্ধমান শেষ আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৪:৪১
Share:

ছবি: সংগৃহীত

ভোট শুরুর কিছুক্ষণ পরেই শাসক দলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগে শহরের সব ওয়ার্ড থেকে প্রার্থী তুলে নিয়েছিল সিপিএম। তার পরেও বর্ধমানের ৩৫টি ওয়ার্ডে দলের ঝুলিতে পড়েছিল প্রায় ৩১ হাজার ভোট। বেশ কিছু জায়গায় প্রায় ৩০ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন দলের প্রার্থীরা। বর্ধমান শহরের সিপিএম কর্মীদের একাংশের দাবি, নেতৃত্ব প্রার্থী প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত না নিলে তৃণমূল ২০১৩ সালের পুরভোটে শহরে ‘ফাঁকা ময়দান’ পেত না। দলের নেতারা বারবার ‘প্রতিরোধ’ গড়ে তোলার কথা বললেও ফের পুরভোটের সময়ে ‘বাধা’র মুখে পড়লে আগের বারের মতো পিছু হটবেন কি না, প্রশ্ন উঠল সিপিএমের সভায়।

Advertisement

শনিবার বর্ধমানে সিপিএম নেতা প্রদীপ তা ও নেতা কমল গায়েনের স্মরণসভা হয়। সেখানে ওই প্রশ্ন ওঠার পরে দলের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, ‘‘আমরা লড়াইয়ের ময়দানে থাকব। বলে দেওয়া হয়েছে এমন কোনও প্রার্থী দেওয়া যাবে না, যে পরবর্তী সময়ে তুলে নিতে পারে। ’’ সিপিএমের নিচুতলার একাংশের দাবি, গত পুরভোটে সন্ত্রাসের অভিযোগে দলের সব প্রার্থীকে বুথ ছাড়ার ওই নির্দেশ দেওয়ার পর থেকেই এক সময়ে ‘লাল দুর্গ’ নামে পরিচিত এলাকায় দলের ক্ষয় হয়েই চলেছে।

গত পুরভোটের পরে সিপিএমের একটি রিপোর্টে অভিযোগ করা হয়, নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করেছিল শাসক দল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। সকালে বুথ দখল হয়ে যাওয়ার পরেও দু’ঘণ্টা পর্যন্ত এজেন্টরা বুথে ছিলেন। সে জন্য প্রায় ৮০ জন দলীয় কর্মীকে আক্রান্ত হতে হয়। সন্ত্রাস বাড়তে থাকায় সকাল ১০টার পরে উচ্চ নেতৃত্বের উপস্থিতিতে বর্ধমানের জোনাল কমিটি পুরভোট থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়। পরে অবশ্য এই সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা নিয়ে দলের অন্দরেই প্রশ্ন তৈরি হয়। হারের কারণ খুঁজতে গিয়ে এক রিপোর্টে জানানো হয়, কয়েকটি ক্ষেত্র ছাড়া অধিকাংশ বুথে কর্মী-বাহিনী গড়ে তোলা যায়নি। পার্টি সদস্য ও প্রাথমিক সদস্যদের একাংশ নিষ্ক্রিয় ছিলেন।

Advertisement

সে কারণে এ বার পুরভোটে ‘নতুন মুখের’ উপরে ভরসা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জেলা সিপিএম নেতৃত্বের দাবি। সূর্যকান্তবাবুও বলেন, ‘‘বহু ছেলেমেয়ে এগিয়ে আসছেন। নতুনেরাই ভরসা।’’ সিপিএমের জেলা কমিটির নেতাদের অনেকের দাবি, গত কয়েক বছরে বাম আন্দোলনে ছাত্র-যুবদের বড় অংশ সামনে থেকেছে। তাঁদের সঙ্গে এলাকার মানুষজনের যোগও বেশি বলে মনে করছেন তাঁরা। নতুন মুখ ভোটের ময়দানে নামানো হলে বাসিন্দাদের কাছেও ভাল বার্তা যাবে বলে আশা করছেন তাঁরা।

জেলা তৃণমূলের সভাপতি স্বপন দেবনাথের পাল্টা বক্তব্য, ‘‘হেরে যাবে বুঝেই প্রার্থী প্রত্যাহার করে নিয়েছিল সিপিএম। সন্ত্রাসের অভিযোগ অজুহাত। মানুষের থেকে ওরা দূরে সরে গিয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন