CPM

‘ঘরে ফিরলেন’ সমর্থকেরা, দাবি সিপিএমের

দুর্গাপুরের দু’টি বিধানসভা আসনই ২০১৬ সালের নির্বাচনে শাসক দল তৃণমূলের হাত থেকে ছিনিয়ে নেয় বাম-কংগ্রেস জোট।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০২১ ০৩:৫১
Share:

প্রতীকী ছবি।

শহর রক্ষার ডাক দিয়ে মঙ্গলবার পুরসভা অভিযান করে সিপিএম। কর্মসূচিতে ভিড় দেখে বিধানসভা নির্বাচনের আগে ‘উজ্জীবিত’ দলের নেতারা। তাঁদের দাবি, লোকসভা নির্বাচনে যাঁরা বিজেপির মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন, এমন অনেকেই ওই কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন। যদিও সিপিএমের এই দাবি ‘হাস্যকর’ বলে উড়িয়েদিয়েছে বিজেপি।

Advertisement

দুর্গাপুরের দু’টি বিধানসভা আসনই ২০১৬ সালের নির্বাচনে শাসক দল তৃণমূলের হাত থেকে ছিনিয়ে নেয় বাম-কংগ্রেস জোট। যদিও ২০১৭-য় পুরভোটে সব ওয়ার্ডেই জেতে তৃণমূল। সিপিএম-সহ অন্য বিরোধীরা তৃণমূলের বিরুদ্ধে নির্বাচনে ব্যাপক সন্ত্রাসের অভিযোগ তোলে। যদিও তৃণমূল সেই অভিযোগ মানেনি।

তবে পরিস্থিতি বদলায় ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে। বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সুরেন্দ্র সিংহ অহলুওয়ালিয়ার জয়ের পিছনে দুর্গাপুর প্রধান ভূমিকা নেয় বলে বিজেপি সূত্রে জানা যায়। দুর্গাপুর থেকে ‘লিড’ নিয়েই জয় ছিনিয়ে নেন তিনি। বিজেপি নেতৃত্ব ঘরোয়া আলোচনায় স্বীকার করেন, তৃণমূলের সঙ্গে সিপিএম সমর্থকদের বড় অংশও সুরেন্দ্রবাবুকে

Advertisement

ভোট দিয়েছিলেন।

তবে সিপিএম নেতৃত্বের দাবি, পুরসভা অভিযান কর্মসূচিতে বিপুল সংখ্যক মানুষের উপস্থিতিই অবস্থার ‘পরিবর্তন’ হয়েছে, তা বুঝিয়ে দিচ্ছে। দুর্গাপুরের প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক বিপ্রেন্দু চক্রবর্তী বলেন, ‘‘মানুষ তৃণমূল ও বিজেপি, দুই দলকেই দেখছেন। দু’টি দল একই মুদ্রার দু’টি পিঠ। এত মানুষের উপস্থিতি দেখেই বোঝা যায়, মানুষ ভরসা করছেন আমাদের।’’ দলের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য পঙ্কজ রায়সরকারের দাবি, ‘‘২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বামেদের ভোট ধরে রাখা যায়নি। আমরা পর্যালোচনা করে দেখেছি, সেই সময় তৃণমূলের আক্রমণের বিরুদ্ধে বিজেপি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে, এমনটা ভেবে অনেকে সে দিকে গিয়েছিলেন। কিন্তু পরে তাঁরা ভুল বুঝে আবারঘরে ফিরছেন।’’

যদিও সিপিএম-এর এই দাবি ‘হাস্যকর’ দাবি করে বিজেপির জেলা সভাপতি লক্ষ্মণ ঘোড়ুইয়ের দাবি, ‘‘তৃণমূলকে সরাতে আমরাই ভরসা। সিপিএম-কে মানুষ বহু দিন আগেই ত্যাগ করেছেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন