নেশার টানে বাড়ছে অপরাধ, দাবি শিবিরে

নেশার ঘোরে রেললাইনের ধারে গুটিয়ে শুয়ে থাকে দেখা যায় অনেক কিশোরকে। কলেজ পড়ুয়াদের নেশায় আসক্তিও নতুন নয়। কিন্তু এতে শারীরিক সমস্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে অপরাধ প্রবণতাও,  কাটোয়া কলেজে জাতীয় সেবা প্রকল্পের একটি অনুষ্ঠানে এ ভাবেই পড়ুয়াদের সতর্ক করলেন একটি বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রতিনিধিরা। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০০:৩২
Share:

খাজুরডিহিতে চলছে শিবির। নিজস্ব চিত্র

নেশার ঘোরে রেললাইনের ধারে গুটিয়ে শুয়ে থাকে দেখা যায় অনেক কিশোরকে। কলেজ পড়ুয়াদের নেশায় আসক্তিও নতুন নয়। কিন্তু এতে শারীরিক সমস্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে অপরাধ প্রবণতাও, কাটোয়া কলেজে জাতীয় সেবা প্রকল্পের একটি অনুষ্ঠানে এ ভাবেই পড়ুয়াদের সতর্ক করলেন একটি বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রতিনিধিরা।

Advertisement

১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কাটোয়া কলেজে বিভিন্ন সমাজ সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান চলছে। প্রতিদিনই সামাজিক ও স্বাস্থ্য সম্পর্কিত নানা বিষয়ে সচেতন করা হচ্ছে কাটোয়ার খাজুরডিহি গ্রামে দ্বিতীয় বর্ষের শতাধিক পড়ুয়াকে। শিবিরে যোগ দিচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। মঙ্গলবার ‘ন্যাশানাল ইনস্টিটিউট অফ সোশ্যাল ডিফেন্স’ ও ‘জয়প্রকাশ ইনস্টিটিউট অফ সোশ্যাল চেঞ্জ’ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্যোগে ড্রাগের অপব্যবহার নিয়ে কর্মশালার আয়োজন করা হয়। বক্তব্য রাখেন ওই সংস্থার আধিকারিক রিয়া দাস চক্রবর্তী ও অর্ণব বিশ্বাস। তাঁরা জানান, স্টেশন চত্বরে, প্ল্যাটফর্মে অনেক সময়েই কিশোর বা মাঝবয়সী পুরুষ-মহিলাদের ঝিমিয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়। এদের মধ্যে মূলত ডেনড্রাইট নেওয়ার প্রবণতা বেশি। খুব অল্প মূল্যে সহজেই এই ড্রাগ পাওয়া যায় বলে এটি সেবনের প্রবণতা বাড়ছে বলেও দাবি করেন তাঁরা।

এ ছাড়াও এলএসডি, মারিজুয়ানা জাতীয় ড্রাগ সিগারেটের মধ্যে দিয়ে নিচ্ছে কলেজ পড়ুয়ারা। শহর ছাড়িয়ে মফস্‌সলেও ড্রাগের আসক্তি দেখা যাচ্ছে বলে জানান তাঁরা। ড্রাগ কেনার জন্য টাকার জোগান না পেলে পড়ুয়াদের মধ্যে অপরাধ প্রবণতা বাড়ছে বলেও তাঁদের দাবি।

Advertisement

প্রতিনিধিদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে ড্রাগ সেবনে শুধু মানসিক স্থিতাবস্থা বিঘ্নিত হয় না, ক্যানসারের মতো মারাত্মক রোগ হতে পারে। যেমন, ‘এন-টেনে’র মতো ড্রাগ ইনজেক্ট করলে বা খেলে দু’দিন একটানা ঘুমিয়ে থাকা যায়। রিয়াদেবী বলেন, ‘‘কলেজ পড়ুয়ারা সচেতন হলে তাঁরাই প্ল্যাটফর্মের নেশাড়ুদের সচেতন করতে পারবে।’’ জাতীয় সেবা প্রকল্পের প্রকল্প আধিকারিক বীরবাহু মণ্ডল, তপোময় ঘোষেরাও বলেন, ‘‘ড্রাগের শ্রেণি বিভাগ ও ক্ষতিকারক দিকগুলো সম্পর্কে ছাত্রছাত্রীদের সচেতন করা হল এই অনুষ্ঠানে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement