কাটোয়া হাসপাতালে। নিজস্ব চিত্র
ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্ত নেই। অথচ, জরুরি ভিত্তিতে রক্ত প্রয়োজন এক প্রসূতির। এই পরিস্থিতিতে নিজেই রক্ত দিতে এগিয়ে এলেন কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগের চিকিৎসক সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায়।
শনিবার ভোরে মুর্শিদাবাদের সালারের বাসিন্দা মধুমিতা হাজরা প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে ওই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তাঁর স্বামী আপেল হাজরা জানান, শুক্রবার গভীর রাতে হঠাৎই প্রসব যন্ত্রণা শুরু হয় স্ত্রীর। ভোরে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। জটিল অবস্থা দেখে স্ত্রীর অস্ত্রোপচার করেন ওই চিকিৎসক। এর পরেই রক্তক্ষরণ শুরু হয় মধুমিতাদেবীর। প্রয়োজন ছিল ‘এ’ পজ়িটিভ গ্রুপের তিন ইউনিট রক্ত। মধুমিতাদেবীর আত্মীয়েরা দুই ইউনিট রক্ত জোগাড় করতে পেরেছিলেন। দরকার ছিল আরও এক ইউনিেটর। মধুমিতাদেবী এবং সুদীপ্তবাবুর রক্তের গ্রুপ এক হওয়ায় আপৎকালীন পরিস্থিতিতে নিজেই রক্ত দেন সুদীপ্তবাবু। বিপদ কাটে। আপাতত সুস্থ মধুমিতাদেবী ও তাঁর সন্তান।
আপেল বলেন, ‘‘ডাক্তারবাবুর এই উপকার আমরা কোনও দিন ভুলব না।’’ দাঁইহাট শহের বাসিন্দা সুদীপ্তবাবু বলেন, “ঠিক সময়ে রক্ত না দিলে প্রসূতির শারীরিক অবস্থা খারাপ হতে পারত। তাই রক্ত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। এটা কর্তব্য।”
কাটোয়া হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্তের সঙ্কট বাড়ছে। বিধানসভা ভোটের আদর্শ আচরণবিধি বলবৎ থাকায় রাজনৈতিক দলগুলি রক্তদান শিবির করতে পারছে না। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলির কাছে রক্তদান শিবির করার আহ্বান জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।