ফুঁসছে পুরীর সমুদ্র। ছবি: এএফপি।
জেলায় ‘ফণী’র প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা সে ভাবে না থাকলেও শনি ও রবিবার ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে, নবান্ন থেকে এই বার্তাই দেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসনকে। সঙ্গে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে প্রশাসনের সব স্তর, পুলিশ ও বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরকেও। জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তবও বলেন, ‘‘সবাইকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।’’
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, সতর্কতার প্রথম ধাপ হিসেবে শুক্রবার থেকেই জেলায় একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হচ্ছে (০৩৪২-২৬৬৫০৯২)। এ ছাড়াও রাজ্য সরকারের ৬টি দফতরের কর্মীদের ছুটি আপাতত বাতিল করা হয়েছে। কাটোয়া ও কালনার মহকুমাশাসককে ‘ফণী’র গতিপ্রকৃতি দেখে ভাগরথীর উপর নৌকা চলাচলের নিয়ন্ত্রণের উপর জোর দিতে বলা হয়েছে। অতিরিক্ত জেলাশাসক অরিন্দম নিয়োগী বলেন, ‘‘জেলা প্রশাসন ছাড়াও আরও ৬টি দফতরকে ‘কুইক রেসপন্স টিম’ তৈরি করতে বলা হয়েছে, যাতে কোনও বিপর্যয় ঘটলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়।’’ ওই দফতরগুলি হল, কৃষি, বিদ্যুৎ, পূর্ত, পূর্ত (সড়ক), প্রাণিসম্পদ, জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতর (পিএইচই)। এ ছাড়াও বিএসএনএলকেও ‘কুইক রেসপন্স টিম’ রাখার জন্যে বলেছে জেলা প্রশাসন।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
ঝড়-বৃষ্টি মানেই ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুৎহীন অবস্থায় থাকতে হয় বলে অভিযোগ গ্রাহকদের। ফণীর প্রভাবে গ্রাহকদের যাতে অসুবিধায় পড়তে না হয়, সে জন্য আগাম ব্যবস্থা নিতে শুরু করা হয়েছে বলে দাবি দুই বর্ধমানের রিজিওনাল দফতরের। ম্যানেজার দিলীপ কুমার বাছার জানিয়েছেন, আপাতত সব রকমের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ ও জিনিসপত্র মজুত করা হয়েছে। বিদ্যুৎ-বিভাগের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন সংস্থাকেও তৈরি থাকতে বলা হয়েছে। জেলা পুলিশ জানায়, সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে সব থানাকেও।