বোরো মরসুমে সেচের জন্য জল ছাড়েনি ডিভিসি। তবে খরিফ মরসুমে সে সমস্যা অনেকটাই মিটতে পারে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ২৭ জুলাই থেকে খরিফ মরসুমের জন্য জল ছাড়বে ডিভিসি। বৃহস্পতিবার বর্ধমান জেলা সার্কিট হাউসে বর্ধমান ডিভিশনের কমিশনার হরি রামালু, জেলাশাসক সৌমিত্র মোহন, হাওড়া, হুগলি এবং বাঁকুড়া জেলা প্রশাসনের কর্তারা এ নিয়ে একটি বৈঠকও করেন। তারপরে সেচ কর্তাদের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে, প্রথম ধাপে ১৬ হাজার একর ফুট সেচ খালের মাধ্যমে ছাড়া হবে। এর ফলে ৮ লক্ষ হেক্টর জমি সেচ কবলিত হবে।
গত বোরো মরসুমে চাষিরা জল না পাওয়ায় বিভিন্ন জায়গায় ক্ষোভ-বিক্ষোভ হয়েছিল। সে প্রসঙ্গও এ দিনের বৈঠকে উঠেছিল। সেচ দফতরের সুপারিন্টেন্ডিং ইঞ্জিনিয়ার (বর্ধমান ডিভিশন) শ্যাম বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আপাতত ঠিক হয়েছে প্রতিদিন ১৬ হাজার একর ফুট করে ডিভিসির জল ছাড়া হবে। এরপর বৃষ্টির উপর নির্ভর করে জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়তে বা কমতে পারে।” কাল, রবিবার দুপুরে সেচ দফতরের একটি বৈঠকে যোগ দিতে বর্ধমানে আসছেন সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। কৃষি দফতর সূত্রে জানা যায়, চলতি মাসে এখনও পর্যন্ত স্বাভাবিকের তুলনায় বৃষ্টিপাত বেশি হওয়ায় এবং সবে ধান বোনার কাজ শুরু হওয়ায় জলের চাহিদা এখনও বর্ধমান জেলায় সেভাবে দেখা দেয়নি। তবে পুরোদমে চাষ শুরু হয়ে গেলে জলের চাহিদা হবে বলে কৃষি দফতরের কর্তারা জানিয়েছেন।