কল্যাণেশ্বরী পাম্পঘরের সামনে। নিজস্ব চিত্র।
স্থানীয় বেকারদের চাকরিতে নিয়োগের দাবিতে বুধবার জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের (পিএইচই) কল্যাণেশ্বরী পাম্পঘরের গেট আটকে বিক্ষোভ দেখালেন যুব তৃণমূলের কর্মী-সদস্যদের একাংশ। তাঁদের অভিযোগ, এলাকার স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশের যোগসাজসে বহিরাগতদের কাজে নেওয়া হচ্ছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ যায়। পরে, পিএইচই-র আশ্বাসে বিক্ষোভ ওঠে।
এ দিন সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিক্ষোভ শুরু হয়। অভিযোগ, তার জেরে দফতরের কর্মী-আধিকারিকেরা কাজে যোগ দিতে যেতে বাধা পান। আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা কুলটির যুব তৃণমূল নেতা মোহিত মণ্ডলের অভিযোগ, ‘‘পাম্পঘরের নানা কাজে যুক্ত ঠিকা সংস্থাগুলিকে ও পিএইচই-কে বারবার স্থানীয়দের নিয়োগের দাবি জানানো হচ্ছে। কিন্তু তা মানা হচ্ছে না। মঙ্গলবার এক ঠিকাদার তিন বহিরাগতকে কাজে নিয়োগ করেছেন। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশের যোগসাজসে ঠিকা সংস্থাগুলি ও পিএইচই স্থানীয়দের বঞ্চিত করে বহিরাগতদের চাকরিতে নিয়োগ করছে।’’
প্রায় পাঁচ ঘণ্টা বিক্ষোভের পরে, যুব তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায় ঘটনাস্থলে যান। তিনি পিএইচই-র সঙ্গে বৈঠক করেন। এর কিছুক্ষণ পরে বিক্ষোভ ওঠে। বিশ্বজিৎবাবু জানান, ‘‘এখানে বারবার বহিরাগতদের নিয়োগের অভিযোগ ওঠে। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সমস্যা মেটানোর আর্জি জানিয়েছি। তা না হলে ২৬ জুন থেকে টানা তিন দিন এই পাম্পঘরের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করা হবে। তাতেও লাভ না হলে আসানসোলে পিএইচই-র সদর দফতরের গেট আটকে বিক্ষোভ হবে।’’
এ দিকে, বুধবার শহরে ছিলেন না পিএইচই-র এগজ়িকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার আশিস নস্কর। তাঁর অনুপস্থিতিতে অন্য আধিকারিকদের কেউই বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আধিকারিক জানান, ঠিকাদার কাকে নিয়োগ করবেন, তা পিএইচই-র এক্তিয়ারে পড়ে না। তবে নিয়োগের আগে সংশ্লিষ্ট ঠিকা সংস্থাগুলি শাসকদলের স্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করে লোক নিয়োগ করে থাকে।
দলের যুব সংগঠনের স্থানীয় নেতৃত্বের প্রতি অভিযোগ প্রসঙ্গে তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সম্পাদক ভি শিবদাসন বলেন, ‘‘এ বিষয়ে কিছু জানি না। খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে। কোনও ভুল বোঝাবুঝি হয়ে থাকলে, তা মেটানো হবে।’’