শুরু হল নর্দমা সাফাই। নিজস্ব চিত্র
জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া দু’জন মহিলা ডেঙ্গি আক্রান্ত বলে জানাল পশ্চিম বর্ধমান জেলা স্বাস্থ্য দফতর। ওই দুই মহিলা বারাবনি ব্লকের দোমহানি বাজার এলাকার বাসিন্দা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দিন পাঁচেক আগে ওই দুই মহিলা জ্বরে আক্রাম্ত হন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় সোমবার তাঁদের আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। হাসপাতালের সুপার নিখিলচন্দ্র দাস বলেন, ‘‘দু’জনের শারীরিক অবস্থা দেখে অ্যালাইজা পরীক্ষা করানো হয়। পরীক্ষার ফল দেখে বোঝা যায়, তাঁরা ডেঙ্গিতে আক্রান্ত। তাঁদের চিকিৎসা চলছে।’’
হাসপাতালের তরফে খবর দেওয়া হয় স্বাস্থ্য দফতরেও। জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক দেবাশিস হালদার বলেন, ‘‘দোমহানির ওই দুই মহিলার শরীরে ডেঙ্গির উপসর্গ দেখা দিয়েছে।’’
রাজ্যে ফের ডেঙ্গি আক্রান্তের খবর মিলতেই জেলার চিকিৎসকেরা সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। এ বছর অগস্ট পর্যন্ত দেগঙ্গা, ব্যারাকপুর, পুরুলিয়া শহর-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ডেঙ্গি রোগে আক্রান্ত রোগীর সন্ধান মিলেছে। এ বার সেই তালিকায় যোগ হল আসানসোল মহকুমার নামও।
অতীতে অবশ্য, এই জেলার নানা প্রান্তে ডেঙ্গি রোগের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। দুর্গাপুরে গত কয়েক বছরে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। ২০১২-য় দু’জন ও ২০১৫-য় এক জনের মৃত্যু হয়। ২০১৫-তেই দুর্গাপুর থেকে কলকাতায় ডাক্তারি পড়তে গিয়ে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হস্টেলে থাকা এক ছাত্রীর মৃত্যু হয়। ২০১৬-য় দুর্গাপুরের সেপকো টাউনশিপের এক বয়স্ক মহিলাও ডেঙ্গি আক্রান্ত হন। প্রায় প্রতি বছরই জেলার নানা প্রান্তে ডেঙ্গি আক্রান্তের খবর সামনে আসায় প্রশ্ন উঠেছে স্বাস্থ্য দফতরের ভূমিকা নিয়েও।
যদিও জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক দেবাশিসবাবু বলেন, ‘‘আমরা স্বাস্থ্যদল তৈরি করে করে জরুরি ভিত্তিতে দোমহানির ওই এলাকায় অভিযান শুরু করেছি।’’ প্রয়োজনীয় ওষুধও বিতরণ করা হচ্ছে। বুধবার স্বাস্থ্যদলের সদস্যেরা দোমহানি বাজার এলাকায় গিয়ে আরও তিন জন জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পেয়েছেন। তাঁদের জ্বর কী প্রকৃতির তা অবশ্য নিশ্চিত নয়। তবে পরীক্ষানীরিক্ষার জন্য তাঁদেরও জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।