ডাঁই: পুরসভার ভবনের সামনেই জমে এত্তা জঞ্জাল। নিজস্ব চিত্র
মাঝে মধ্যে কামান দাগা হয় বটে, কিন্তু মশার উৎপাত কমে না। বিকেলের আলো নেভার আগেই মশার জ্বালায় নিশ্চিন্তে শোয়া-বসার উপায় থাকে না গুসকরার মানুষের।
তাঁদের প্রশ্ন, এত মশা আসে কোথা থেকে? জবাব অবশ্য রয়েছে পুরসভার কাছেই। পুরকর্তারা জানান, শহর জুড়ে পুকুর-ডোবা মজতে শুরু করেছে। নর্দমার নোংরা জল আটকে থাকছে। আর সেখানেই বাড়ছে মশা।
নিয়ম বলে, মশার লার্ভা কী ভাবে নষ্ট করা যাবে, কিংবা কোন সময় ধোঁয়া দিলে মশার উৎপাত কমানো যাবে— এ সব প্রশ্নের উত্তর পতঙ্গবিদের কাছ থেকে জেনে কামান দাগা উচিত। কিন্তু রাজ্যের ‘ই’ ক্যাটাগরির গুসকরা পুরসভায় স্বাভাবিক ভাবেই কোনও পতঙ্গবিদই নেই। ফলে সবটাই বিশ বাঁও জলে। পুরপ্রধান বুর্ধেন্দু রায়ের যদিও দাবি, “রাজ্যে হাতে গোনা কয়েকটা বড় পুরসভা ছাড়া কোথাও পতঙ্গবিদ নেই।”
পুরসভা সূত্রেই জানা যায়, শহরের ১৬টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১, ২, ৩, ৪, ৯, ১২ ও ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে মশার উৎপাত বেশি। ওই সব এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, সন্ধ্যার পর থেকে মশার জন্য দরজা-জানলা খোলার উপায় নেই। এমনকী, পুরসভার তরফে মশা নিয়ন্ত্রণের জন্য জঞ্জাল সরানোর নির্দেশ দেওয়া হলেও তা খাতায়-কলমেই রয়ে গিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের ক্ষোভ, শহরের বড় নর্দমাগুলি বছরে একবারও পরিষ্কার হয় কি না সন্দেহ। তেমনি মজে যাওয়া পুকুর, ডোবাগুলি সংস্কারেরও উদ্যোগ পুরসভার নেই বললেই চলে।
যদিও কাউন্সিলর নিত্যানন্দ চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, “গত বছর গুসকরায় সাত জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। এ ছাড়াও ম্যালেরিয়া-সহ মশাবাহিত রোগ আক্রান্তের কথা মাঝেমধ্যেই শোনা যায়। সে জন্য আমরা শহরকে পরিষ্কার রাখার কাজ শুরু করেছি।” পুরকর্তাদের দাবি, মশার লার্ভা নষ্টের জন্য ওষুধ দেওয়ার কাজ শেষ হয়েছে। কামান দাগার কাজ চলছে। পাশাপাশি ২০ জন মহিলা নিয়মিত বাড়ি বাড়ি গিয়ে সচেতনতার প্রচার শুরু করেছে।