DVC Water Release

দামোদর ভরে উঠেছে, জল ছাড়া আরও বাড়িয়ে দিল ডিভিসি! পুজোর মুখে প্লাবনের আশঙ্কা, তর্পণ নিয়েও সতর্ক প্রশাসন

নিম্নচাপের কারণে ঝাড়খণ্ডে ভারী বৃষ্টি চলছে। সেই কারণেই বাড়তি জল ছাড়তে হচ্ছে ডিভিসিকে। ভরে উঠেছে দামোদর। রবিবার মহালয়ার আগে তা নিয়ে সতর্ক প্রশাসনও।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৩:৫১
Share:

পাঞ্চেত ও মাইথন জলাধার থেকে বাড়তি জল ছাড়ছে ডিভিসি। —নিজস্ব চিত্র।

রবিবার মহালয়া। তার আগে জল ছাড়ার পরিমাণ আরও বাড়িয়ে দিল ডিভিসি। গত কয়েক দিন ধরেই কমবেশি জল ছাড়া হচ্ছে। নিম্নচাপের কারণে ঝাড়খণ্ডে ভারী বৃষ্টি চলছে। সেই কারণেই বাড়তি জল ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন কর্তৃপক্ষ। এর ফলে পুজোর আগে নিম্ন দামোদর উপত্যকা ভাসতে পারে। মহালয়ার তর্পণ নিয়েও বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করছে প্রশাসন।

Advertisement

মাইথন এবং পাঞ্চেত জলাধার থেকে বৃহস্পতিবার ৪১ হাজার কিউসেক জল ছেড়েছিল ডিভিসি। কিন্তু শুক্রবার থেকে পরিমাণ আরও বেড়েছে। শুক্রবার সকাল থেকে ৪২ হাজার ৫০০ কিউসেক করে জল ছাড়া হচ্ছে। তার মধ্যে রয়েছে মাইথনের ১৭ হাজার এবং পাঞ্চেতের ২৫ হাজার ৫০০ কিউসেক জল। ডিভিসি জানিয়েছে, ঝাড়খণ্ডে টানা বৃষ্টির কারণে এই দুই জলাধারই পূর্ণ। তাই বাড়তি জল ছাড়তে হচ্ছে। শনিবার ডিভিসি ছেড়েছে আরও ৪১ হাজার কিউসেক জল (মাইথন ১৮ হাজার এবং পাঞ্চেত ২৩ হাজার কিউসেক)।

দামোদর পরিপূর্ণ। ডিভিসির বাড়তি জলে নদী উপচে ভাসতে পারে উপত্যকা এলাকা। মহালয়ায় দামোদরে বহু মানুষ তর্পণ করেন। অতীতেও এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। এমনকি, একাধিক দুর্ঘটনাও ঘটেছে বাড়তি জল থাকায়। এই মহালয়াতেই দামোদরে তর্পণ করতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটকের দাদা অসীম ঘটক। ফলে অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে এ বছর আগে থেকেই সতর্ক প্রশাসন। আসানসোলের মহকুমা প্রশাসক বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, মহালয়ার তর্পণ নিয়ে ইতিমধ্যেই পুরপ্রশাসন এবং বিডিওদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন জেলাশাসক। নদীঘাটগুলিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এবং পুলিশ তর্পণের সময়ে ঘাটে থাকবে। সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থাও রয়েছে। যে সমস্ত ঘাটে জল বেশি এবং বিপদের সম্ভাবনা রয়েছে, সেখানে কাউকে নামতে দেওয়া হবে না। আগে থেকে ব্যারিকেড করে দেওয়া হবে। এ ছাড়া, তর্পণের সময়ে মাইকিং চলবে। আসানসোল পুরনিগমের মেয়র পারিষদ গুরুদাস চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‘সতর্কতার জন্য যা যা দরকার, পুলিশ ও জেলা প্রশাসন করছে। ঘাটগুলিতে উন্নত পরিকাঠামো রয়েছে।’’

Advertisement

গত জুন-জুলাই মাসেও হাজার হাজার কিউসেক জল ছেড়েছিল ডিভিসি। সেই সময় এমনিতেই নিম্নচাপের জেরে টানা বৃষ্টির ফলে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, হুগলির মতো জেলায়। তার মধ্যে ডিভিসি-ও জল ছাড়ায় পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে গিয়েছিল। যা নিয়ে রাজনৈতিক ক্ষেত্রেও বিস্তর বিতর্ক হয়েছে। ডিভিসির বিরুদ্ধে না-জানিয়ে জল ছাড়ার অভিযোগ তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বারও পুজোর মুখে নতুন করে নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে বঙ্গোপসাগরে। ফলে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement