ECL

ভাড়াঘরে মহিলার দেহ, গ্রেফতার ইসিএল কর্মী

মহিলাকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে এক ব্যক্তিকে। মঙ্গলবার সকালে কুলটি থানার রাধানগর এলাকার একটি ফাঁকা ঘর থেকে মহিলার দেহ উদ্ধার হয়। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০১৮ ০৪:২৯
Share:

মহিলাকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে এক ব্যক্তিকে। মঙ্গলবার সকালে কুলটি থানার রাধানগর এলাকার একটি ফাঁকা ঘর থেকে মহিলার দেহ উদ্ধার হয়।

Advertisement

পুলিশ জানায়, নিহতের নাম লীলা ভুঁইয়া (৩৫)। তাঁর বাড়ি, রাধানগরের হাটিয়া এলাকায়। নিয়ামতপুর ৪ নম্বর টহরম এলাকার বাসিন্দা ধৃত হপন মাড্ডি পেশায় ইসিএলের কর্মী। পুলিশ দেহের ময়না-তদন্ত করিয়েছে আসানসোল জেলা হাসপাতালে। পুলিশ জানায়, লীলাদেবীর তিন সন্তান রয়েছে। প্রায় ১২ বছর আগে ওই মহিলার স্বামী রঞ্জিতবাবুর মৃত্যু হয়। স্থানীয় সূত্রে পুলিশ জানতে পেরেছে, প্রায় এক দশক ধরে বছর পঞ্চাশের হপনের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল লীলাদেবীর। হপন নিজেও বিবাহিত। পুলিশের দাবি, রাধানগর হাটিয়ার পাশে পেট্রল পাম্প লাগোয়া একটি ঘরভাড়া রয়েছে হপনের। মাঝেসাঝে হপন ও লীলাদেবীকে ওই ঘরে দেখা যেত বলেও স্থানীয় সূত্রে

জানা গিয়েছে।

Advertisement

মঙ্গলবার সকালে নিহতের মেয়ে বেবি জানায়, সোমবার বিকেলে মা হপনের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছি বলে বার হন। কিন্তু গভীর রাত লীলাদেবী বাড়ি না ফেরায় তাঁর ছেলেমেয়েরা চিন্তায় পড়ে যায়। শেষমেশ মঙ্গলবার ভোরে এক পড়শির কাছে খবর পেয়ে বেবি হপনের ভাড়াঘরে যায়। দরজা আটকানো না থাকায় ঘরে ঢুকে দেখে, মা অচেতন অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। এর পরে তার চিৎকারে জড়ো হয় লোকজন। ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় আসে পুলিশ। দেহটি উদ্ধার করে নিয়ামতপুর ফাঁড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়।

পুলিশ জানায়, মহিলার ছেলে টিঙ্কু ভুঁইয়া মা’কে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে। তার ভিত্তিতেই এলাকা থেকেই হপনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের দাবি, জেরায় তাদের কাছে হপন খুন করার কথা স্বীকার করেছেন। পুলিশ জানায়, ময়না-তদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী লীলাদেবীকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে।

এই ঘটনার কথা চাউর হতেই ধৃতের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন এলাকাবাসী। সেই সঙ্গে ওই ভাড়াবাড়ির মালিকের বিরুদ্ধেও আইনি পদক্ষেপ করার দাবি উঠেছে। আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এডিসিপি (পশ্চিম) অনমিত্র দাস বলেন, ‘‘হপনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।’’ পুলিশ জানায়, বাড়ির মালিকের খোঁজ চলছে। সম্পর্কগত টানাপড়েনের জেরেই এই খুন বলে অনুমান তদন্তকারীদের একাংশের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement