রোগীর চাপে হাঁসফাঁস

মহকুমা হাসপাতালে ২৩৪টি শয্যা ও সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ৩০০টি শয্যা রয়েছে। কিন্তু রোগীর পরিজনেরা জানান, এর পরেও শয্যা পেতে সমস্যা হচ্ছে। এমনকি, শয্যা মিলছে না জানিয়ে ফোন যাচ্ছে হাসপাতালের সুপার কৃষ্ণচন্দ্র বরাইয়ের কাছে, খবর হাসপাতাল সূত্রে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কালনা শেষ আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০১:১০
Share:

কালনা মহকুমা হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে রোগীদের ভিড়। প্রয়োজনে এক শয্যায় দু’জনকে থাকতে হয় বলেও অভিযোগ। নিজস্ব চিত্র

তৈরি হয়েছে সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল। কিন্তু নবনির্মিত সেই হাসপাতাল ও কালনা মহকুমা হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরিষেবা দিতে হিমসিম অবস্থা চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের, জানা যায় হাসপাতাল সূত্রেই। রোগীর পরিজনেরা জানান, এমন পরিস্থিতি যে একই শয্যায় দু’জন রোগীকে রাখতে হচ্ছে।

Advertisement

মহকুমা হাসপাতালে ২৩৪টি শয্যা ও সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ৩০০টি শয্যা রয়েছে। কিন্তু রোগীর পরিজনেরা জানান, এর পরেও শয্যা পেতে সমস্যা হচ্ছে। এমনকি, শয্যা মিলছে না জানিয়ে ফোন যাচ্ছে হাসপাতালের সুপার কৃষ্ণচন্দ্র বরাইয়ের কাছে, খবর হাসপাতাল সূত্রে।

রোগীর চাপ ব্যাপক বেড়ে যাওয়ায় এই মুহূর্তে মহকুমা হাসপাতালে রয়েছে শুধু মেডিসিন বিভাগ। অন্য সব বিভাগের পরিষেবা মেলে সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে। কিন্তু রোগীর ‘চাপ’ কেমন, সে প্রসঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একটি পরিসংখ্যান দেন। তাঁরা জানান, অগস্টে রোগী ভর্তি হয়েছিলেন প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার। জরুরি ও বহির্বিভাগে মাসে পরিষেবা পান গড়ে যথাক্রমে ছয় ও ৩২ হাজার জন রোগী। এ ছাড়া প্যাথলজি বিভাগে মাসে পরীক্ষা হয় প্রায় ২১ হাজার নমুনার। মাসে বড় অস্ত্রোপচারের সংখ্যা প্রায় সাড়ে তিনশোটি। এ ছাড়াও ফি মাসে গড়ে পাঁচশোটি প্রসব ও ১৫০০টি আলট্রা সোনোগ্রাফি করানো হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, গত বছর এই সময়ের তুলনায় চলতি বছরের বর্তমান মাস পর্যন্ত প্রায় ২৫ শতাংশ বেশি মানুষ স্বাস্থ্য-পরিষেবা পেয়েছেন।

Advertisement

হাসপাতাল পরিচালনায় যুক্ত এক আধিকারিক বলেন, ‘‘আমাদের এসএনসিইউ ইউনিটে ২০ জন শিশুকে রাখার জায়গা রয়েছে। কিন্তু মাঝেমধ্যে এমন পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে, সেই সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ৩০ জন। রোগী স্থানান্তরিত করার সংখ্যা কমে তিন শতাংশে দাঁড়িয়েছে।’’ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আশা, দ্রুত ডায়ালিসিস কেন্দ্র ও সিটি স্ক্যানের পরিকাঠমো তৈরি হবে এখানে। ফলে স্থানান্তরিত করার সেই সংখ্যা আরও কমবে।

কিন্তু রোগীর সংখ্যা এমন বৃদ্ধির কারণ কী? হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, জেলা সদরের কাছাকাছি মেমারি, হাটগোবিন্দপুর-সহ বেশ কিছু এলাকা থেকেও রোগী আসছেন কালনায়। বেশ কিছু বড় অস্ত্রোপচার হওয়ায় হুগলি, নদিয়া থেকেও রোগীরা এখানে আসছেন।

তবে সুপার কৃষ্ণচন্দ্রবাবু বলেন, ‘‘বিষয়টি নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই সংক্রামক ওয়ার্ডে ৩৪ থেকে বাড়িয়ে শয্যা সংখ্যা ৬০টি করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন