প্রতীকী ছবি।
মাসখানেক আগে সমবায় সমিতির বন্ধ ঘর থেকে মৃতদেহ মিলেছিল ম্যানেজারের। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান ছিল, গরম ও রাসায়নিকের তীব্র গন্ধে এমনটা ঘটে থাকতে পারে। বৃহস্পতিবার ওই ঘটনাতেই খুনের অভিযোগ দায়ের করল পরিবার।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সমবায়ের কিছু কাজ শেষ করার জন্য ২১ জুলাই রাত জেগে করছিলেন ম্যানেজার অশোক বিশ্বাস ও কোষাধ্যক্ষ আশুতোষ দেবনাথ। পরের দিন সকালে ৪২ বছর বয়সী ম্যানেজারের মৃতদেহ উদ্ধার হয় সমবায়ের একটি ঘর থেকে। অসুস্থ অবস্থায় ম্যানেজারকে ভর্তি করা হয় কালনা হাসপাতালে। পরের দিন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যান তিনি। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানায়, বদ্ধ ঘরের মধ্যে সারারাত ধরে জেনারেটর চলছিল। তা থেকে যে গ্যাস উৎপাদন হয়েছে তার জেরেই মৃত্যু হয়েছে সমবায়ের ম্যনেজারের। যদিও পরিবারের সদস্যদের দাবি, গ্যাস নয়, ঘরের মধ্যে পরিকল্পনা করে খুন করা হয়েছে অশোকবাবুকে।
সোমবার কালনা আদালতে মৃত যুবকের বাবা সুশান্ত বিশ্বাস অভিযোগ করেন, ঘটনার দিন ছেলে বাড়ি থেকে রুটি তরকারি নিয়ে যায়। পরের দিন শোনা যায় ছেলের মৃতদেহ পরে রয়েছে সমবায়ের ঘরে। তাঁর দাবি, ঘটনাটি স্বাভাবিক নয়। ছেলের সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল। তাঁর অভিযোগ, যে মোটরবাইক নিয়ে অশোকবাবু গিয়েছিলেন সেটি ভাঙা অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। সুশান্তবাবুর আরও দাবি, ছেলে বাড়িতে এসে বলতো সমবায়ের কোষাধ্যক্ষ প্রচুর টাকার হিসাব দিতে পারছেন না। তিনি ছেলেকে সাবধানে থাকারও পরামর্শ দিয়েছিলেন। তাঁর অভিযোগ, কালনা থানায় জানানো হলেও দোষীদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা হয়নি।
সুশান্তবাবুর আইনজীবী পার্থসারথি কর বলেন, ‘‘ন্যায় বিচারের জন্য সুশান্তবাবু আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।’’ এসিজেএম আদালতের বিচারক কুসুমিকা দে মিত্র কালনা থানার পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। যদিও কালনা থানার এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘পুলিশ বিষয়টিকে হাল্কা ভাবে নেয়নি। ইতিমধ্যেই একটি খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে।’’