Father Sexually Assaults Daughter

তিন মেয়েকে টানা পাঁচ বছর শারীরিক নিগ্রহ, চিত্তরঞ্জনে পকসো আইনে গ্রেফতার করা হল বাবাকে

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত পেশায় রেল ইঞ্জিন কারখানার এক শ্রমিক। বছর সাতেক আগে তাঁর প্রথম স্ত্রী প্রয়াত হন। তার পর থেকে তিন মেয়ের উপর তিনি শারীরিক নিগ্রহ শুরু করেন বলে অভিযোগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আসানসোল শেষ আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০২৩ ১১:৪৯
Share:

তিন মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার বাবা। প্রতীকী চিত্র।

তিন মেয়েকে পাঁচ বছর ধরে ধর্ষণ করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হল বাবাকে। এই ঘটনা ঘটেছে আসানসোলের চিত্তরঞ্জন থানা এলাকায়। ওই কাণ্ডে পুলিশ গ্রেফতার করেছে বাবাকে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই নির্যাতিতাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষাও করানো হয়েছে। শুরু হয়েছে তদন্ত।

Advertisement

চিত্তরঞ্জন থানার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত পেশায় রেল ইঞ্জিন কারখানার এক শ্রমিক। বছর সাতেক আগে তাঁর প্রথম স্ত্রী প্রয়াত হন। তার পর থেকে তিন মেয়ের উপর তিনি শারীরিক নিগ্রহ শুরু করেন বলে অভিযোগ। তাঁর তিন মেয়ের মধ্যে বর্তমানে দু’জন নাবালিকা এবং এক জন প্রাপ্তবয়স্ক। স্ত্রীর মৃত্যুর কিছু দিনের মধ্যে দ্বিতীয় বার বিয়ে করেন ধৃত। তার পর থেকে তিন মেয়ের উপর তিনি শারীরিক অত্যাচার বেশি করে করতেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত শুক্রবার অভিযুক্ত তাঁর তিন মেয়েকে মারধর করে বাড়ি থেকে বার করে দেন। এর পর স্থানীয় এক সমাজসেবীর সাহায্য নিয়ে বাবার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন তিন মেয়ে। বিষয়টি জানানো হয় চাইল্ড লাইনেও।

পুলিশ এবং চাইল্ড লাইন কর্তৃপক্ষ এই খবর পেয়ে তিন জনকে উদ্ধার করে। এর পর অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছায় আঘাত করা, স্ত্রীলোকের উপর বলপ্রয়োগ করা এবং পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। এ নিয়ে আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের ডিসি (পশ্চিম) অভিষেক মোদী বলেন, ‘‘অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’’ নিগৃহীতাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষাও করানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন