—প্রতীকী চিত্র।
অধ্যাপিকাকে শারীরিক এবং মানসিক ভাবে হেনস্থায় অভিযুক্ত সদ্য অবসর নেওয়া অধ্যক্ষ। পূর্ব বর্ধমানের মেমারি কলেজের এই ঘটনায় শোরগোল শুরু হয়ে গিয়েছে। আদালতের নির্দেশে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা শুরু করেছে পুলিশ।
অভিযোগকারিণী আদালতকে জানিয়েছেন, ২০২৩ সালের ২৩ ডিসেম্বর কলেজের একটি অনুষ্ঠান চলাকালীন মঞ্চে সকলের সামনে অধ্যক্ষ তাঁর সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। শুধু তা-ই নয়, শারীরিক ভাবেও হেনস্থা করেন। প্রতিবাদ করলে অধ্যক্ষ তাঁর চুলের মুঠি ধরে মঞ্চ থেকে নামিয়ে দেন। ওই অধ্যাপিকার আরও অভিযোগ, ওখানেই শেষ নয়, তিনি ধারাবাহিক ভাবে মানসিক এবং শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। কর্মক্ষেত্রে দিনের পর দিন এমন ঘটনায় মানসিক অবসাদে ভুগতে শুরু করেন তিনি এবং এর প্রভাবে তাঁর চার মাসের গর্ভস্থ সন্তানের মৃত্যু হয়েছে। তার পরেও পরিস্থিতি বদলায়নি। বরং কলেজে নানা অবিচারের মুখে পড়তে হয় তাঁকে।
ক্লাস নিতে না দেওয়া এবং প্রশাসনিক স্তরে বঞ্চনার অভিযোগ করেছেন অধ্যাপিকা। তিনি জানিয়েছেন, চলতি বছরের ১১ অগস্ট ছুটি চাওয়াকে কেন্দ্র করেও আরও এক বার তাঁর সঙ্গে অভব্য আচরণ করেন তৎকালীন অধ্যক্ষ। প্রতিবাদ করলে তাঁকে সাসপেন্ড করার হুমকি দেওয়া হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, ‘নির্যাতিতা’ অধ্যাপিকা বর্ধমান সিজেএম আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। তার ভিত্তিতেই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
অভিযুক্ত প্রাক্তন অধ্যক্ষ অবশ্য সমস্ত অভিযোগই অস্বীকার করেছেন। তাঁর কথায়,“সম্পূর্ণ মিথ্যা বলছেন উনি। কেন এই সমস্ত অভিযোগ করেছেন, বুঝতে পারছি না। তবে অভিযোগ করে থাকলে আমিও আইনি পথেই তার জবাব দেব।’’