ফের অগ্নিকাণ্ড দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারে

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এ দিন দুপুর দেড়টা নাগাদ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে। কাছেই দমকল কেন্দ্র। একটি ইঞ্জিন দ্রুত পৌঁছে যায়। খানিকক্ষণের মধ্যেই আগুন নিভে যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৮ ০০:০৭
Share:

রেস্তোরাঁর রান্নাঘরে। নিজস্ব চিত্র

আবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল দুর্গাপুরের সিটি সেন্টার এলাকায়। সোমবার দুপুরে পুরসভার ‘সুহট্ট’ শপিংমলের উল্টো দিকে একটি রেস্তোরাঁয় আগুন লাগে। পাশে পেট্রল পাম্প থাকায় আতঙ্ক তৈরি হয়। তবে দমকলের একটি ইঞ্জিন দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিভিয়ে ফেলে। রেস্তোরাঁর রান্নাঘরে চিমনি সময়মতো পরিষ্কার না করায় আগুন লেগেছিল বলে দমকল প্রাথমিক ভাবে মনে করছে।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এ দিন দুপুর দেড়টা নাগাদ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে। কাছেই দমকল কেন্দ্র। একটি ইঞ্জিন দ্রুত পৌঁছে যায়। খানিকক্ষণের মধ্যেই আগুন নিভে যায়। রেস্তোরাঁ সূত্রে জানা যায়, ক্ষয়ক্ষতি তেমন কিছু হয়নি। দমকলের ওসি সুশান্ত চট্টোপাধ্যায় জানান, রান্নাঘরের চিমনি সময়মতো সাফ করা হয়নি। সেখানে তেল জমেছিল। সেই তেল আগুনে পড়ে। তা থেকেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। সুশান্তবাবু বলেন, ‘‘অন্তত প্রতি ছ’মাস অন্তর এক বার করে চিমনি সাফ করতে হয়। তা যে করা হয়নি, এই ঘটনা থেকে পরিষ্কার।’’

কলকাতায় বাগড়ি মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের পরে দুর্গাপুর পুরসভার তরফে ১৮ সেপ্টেম্বর সিটি সেন্টারে বেশ কিছু শপিংমল, হোটেল বাণিজ্যিক ভবনের অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা খতিয়ে দেখা হয়। কোথাও মেয়াদ উত্তীর্ণ কার্বন-ডাই-অক্সাইডের সিলিন্ডার, কোথাও খোলা বিদ্যুতের তার, কোথাও রান্নাঘরে অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র না থাকার মতো নানা গাফিলতি ধরা পড়ে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সেই সব ত্রুটি শুধরে নেওয়ার নির্দেশ দেয় পুরসভা।

Advertisement

কিন্তু তার দু’দিন পরেই, ২০ সেপ্টেম্বর সিটি সেন্টারে জাতীয় সড়কের ধারে শপিংমল লাগোয়া একটি বাণিজ্যিক ভবনে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। বাড়িটির একতলায় একটি বহুজাতিক খাবারের দোকান রয়েছে। বেসমেন্টে সার্ভার রুম ছাড়াও খাবারের প্যাকেট ও নানা পরিত্যক্ত কাগজপত্র রাখা ছিল। সেখান থেকেই আগুন ছড়ায়। দমকলের দু’টি ইঞ্জিন প্রায় চার ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নেভায়। বেসমেন্ট থেকে সার্ভার রুম সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেয় দমকল।

সোমবার সিটি সেন্টারে যে রেস্তোরাঁয় আগুন লাগে, সেখানে অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা যথাযথ রয়েছে কি না, সে নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন ক্রেতাদের অনেকেই। দমকলের ওসি সুশান্তবাবু জানান, রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষকে ‘ফায়ার লাইসেন্স’ ও অন্য প্রয়োজনীয় নথিপত্র-সহ দমকলের কার্যালয়ে দেখা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রেস্তোরাঁর এক কর্মী বলেন, ‘‘ফায়ার লাইসেন্স রয়েছে। কর্তৃপক্ষকে দমকলের নির্দেশ জানাব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন