দুর্ঘটনাগ্রস্ত: অন্ডালে সেই গাড়ি। নিজস্ব চিত্র
কখনও লেন ভাঙা, কখনও বেপরোয়া গতি, আবার কখনও রাস্তার পাশে ট্রাক বা ট্রেলার দাঁড় করিয়ে রাখা— গত দু’মাসে নানা কারণে পরপর দুর্ঘটনা ঘটছে ২ নম্বর জাতীয় সড়কে। পুলিশ নজরদারি শুরু করলেও দুর্ঘটনার বিরাম নেই। শুক্রবার রাতে পশ্চিম বর্ধমানের অন্ডালে ফের এক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল একই পরিবারের চার জনের।
দুর্গাপুরের ইস্পাতনগরীর বাসিন্দা জীবন মুখোপাধ্যায় বাঁকুড়ার ঝাঁটিপাহাড়িতে একটি বিয়েবাড়ি সেরে গাড়িতে বাড়ি ফিরছিলেন। সঙ্গে ছিলেন তাঁর মা ভক্তি মুখোপাধ্যায় (৭২), স্ত্রী কণিকা (৪৩), ছেলে সৌরেন (১৪) ও ভাই মিলন (৪২)। গাড়ি চালচ্ছিলেন মিলনবাবু। রাত ১২টা নাগাদ অন্ডালের কাজোড়ায় জাতীয় সড়কে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রেলারে ধাক্কা মারে গা়ড়িটি। ঠিক তখনই পিছন থেকে আসা একটি ট্রাক গাড়িটিকে ধাক্কা দেয়। ট্রাক ও ট্রেলারের মাঝে গাড়িটি দুমড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় জীবনবাবুর মা, স্ত্রী, ছেলে ও ভাইয়ের। দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্টের কর্মী জীবনবাবু এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি।
আরও পড়ুন...
চার জনের মৃত্যু, শোকস্তব্ধ পাড়া
গত বছর গলসিতে গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে ধাক্কা মারায় মৃত্যু হয় এক দম্পতির। মাসখানেক আগেই বর্ধমানের রথতলায় পিচের ট্যাঙ্কারে চাপা পড়ে এক পরিবারের সাত জন মারা যান। পশ্চিম বর্ধমানের অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) শঙ্খ সাঁতরা বলেন, ‘‘রাস্তার পাশে ইচ্ছেমতো গাড়ি রাখা বন্ধ করতে গার্ডরেল দেওয়া হবে। আরও কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ কাজ শুরু করেছেন।’’