ডিএসপি টাউনশিপে এই ক্লাবেই তালা দেওয়া হয়েছে। নিজস্ব চিত্র
ক্লাব দখল করে অসামাজিক কাজকর্ম করছে দুষ্কৃতীরা। এলাকাবাসীর কাছে এমন অভিযোগ পেয়ে মঙ্গলবার দুর্গাপুরের ডিএসপি টাউনশিপে রাজেন্দ্রপ্রসাদ রোডের লাগোয়া ওই ক্লাবে অভিযান চালালেন পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, পুলিশকে ক্লাবের উপরে নজর রাখার জন্য আর্জি জানানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জগন্নাথ মন্দির লাগোয়া ওই ক্লাবে বেশ কিছু দিন ধরে অসামাজিক কাজকর্মের অভিযোগ উঠছিল। এলাকাবাসীর একাংশের অভিযোগ, সন্ধ্যার পরে বেশ কয়েক জন ক্লাবে এসে গভীর রাত পর্যন্ত মদ্যপান করত। চিৎকার-চেঁচামেচি, গালিগালাজ করত। এর জেরে এলাকার পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছিল।
এলাকাবাসীর একাংশের অভিযোগ, প্রতিবাদ করে হুমকিও শুনতে হয়েছে তাঁদের। তৃণমূলের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে ও তাঁরা তৃণমূলের কর্মী, এমন দাবি করে ওই লোকজন পাড়ার সবাইকে মুখ বন্ধ রাখতে বলে, অভিযোগ উঠেছে এমনও। বাসিন্দারা শেষমেশ বিষয়টি কাউন্সিলর তথা পুরসভার মেয়র পারিষদ (সড়ক) অমিতাভবাবুকে জানান।
এর পরে এ দিন সকালে এলাকায় যান অমিতাভবাবু। তখন ক্লাবটি তালাবন্ধ ছিল। তিনি তালা খোলানোর ব্যবস্থা করতে বলেন স্থানীয় বাসিন্দাদের। কিছুক্ষণের চেষ্টায় তালা খোলে। তার পরে কাউন্সিলর ক্লাবঘরে ঢোকেন। দেখা যায়, ঘরের মেঝেতে মদের বহু ফাঁকা বোতল পড়ে রয়েছে। পুলিশে খবর দেওয়া হয়। অমিতাভবাবু নতুন একটি তালা দিয়ে ক্লাবঘরটি বন্ধ করে দেন। তিনি পুলিশকে ক্লাবটির উপরে নজর রাখার জন্য আর্জি জানান। কাউন্সিলরের আশা, কোনও দুষ্কৃতী ক্লাবে ফের ঢুকলে পুলিশ যেন তাঁর বিরুদ্ধে নিশ্চয় আইনিপদক্ষেপ করবে।
কাউন্সিলর বলেন, ‘‘আমাদের দলের সঙ্গে ক্লাবের নাম জড়িয়ে আমাদের সম্মানহানির চেষ্টা করেছিলেন কেউ কেউ। কিন্তু ঘরের ভিতরে রাজনৈতিক দলের পতাকা, ছবি বা অন্য কোনও প্রমাণ মেলেনি। এটা দুষ্কৃতীদের বিষয়। নির্বাচনের আগে বিরোধীরা আমাদের দলের বদনাম করার জন্য চক্রান্ত করেছিল। কিন্তু তা সফল হল না।’’ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি অভিযোগ অস্বীকার করেছে।