Paschim Bardhaman

কোভিড রোগীর মৃতদেহ আটকে রাখার অভিযোগ হাসপাতালের বিরুদ্ধে

বাঁকুড়ার সোনামুখির বাসিন্দা উমারানি বারুই ১২ মে কোভিডে আক্রান্ত হয়ে কাঁকসা থানার ওই বেসরকারি হাসপাতালে তিনি ভর্তি হন। ৩১ মে মৃত্যু হয় তাঁর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাঁকসা শেষ আপডেট: ০১ জুন ২০২১ ১৯:০১
Share:

নিজস্ব চিত্র

Advertisement

বিল মেটাতে না পারাতে কোভিড আক্রান্ত হয়ে মৃত্য হওয়া ব্যক্তির মৃতদেহ আটকে রাখার অভিযোগ বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে। এমনকি মহকুমা শাসকের নির্দেশ পেয়েও মৃতদেহ ছাড়েননি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, দাবি মৃতের পরিবারের লোকজনের। পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসার ঘটনা।

বাঁকুড়ার সোনামুখির বাসিন্দা উমারানি বারুই ১২ মে কোভিডে আক্রান্ত হয়ে কাঁকসা থানার ওই বেসরকারি হাসপাতালে তিনি ভর্তি হন। ৩১ মে মৃত্যু হয় তাঁর। মৃত্যুর পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ৯ লক্ষ টাকার একটি বিল ধরায়। মৃতের পরিবারের দাবি, এই টাকা দিতে না পারাতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তাঁদের রফা হয় সাড়ে ৪ লক্ষ টাকায়। টাকা দিয়েও দেওয়া হয়। যদিও মৃতার বড় ছেলে অতনু বারুই মৃতদেহ আনতে গেলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ টালবাহানা শুরু করে। অভিযোগ, মঙ্গলবার সকালে হাসপাতালে গিয়ে মৃতের ছেলে জানতে পারেন পুরো টাকা না পেলে মৃতদেহ ছাড়া হবে না বলে জানিয়ে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এরপরই অতনু বারুই স্থানীয় মলানদিঘি ফাঁড়ি ও দুর্গাপুর মহকুমা শাসকের দ্বারস্থ হন। সে সময়ই মৃতের পরিবার জানতে পারে যে সরকারি পোর্টালে মৃতের কোনও তথ্যই নেই। অথচ নিয়ম মাফিক কোভিডে মৃত্যু হলে সরকারি পোর্টালে তথ্য আপলোড করা বাধ্যতামূলক। কারণ এই তথ্যের উপর ভিত্তি করেই মৃতদেহ সৎকারের ব্যবস্থা করে প্রশাসন।

Advertisement

মহকুমা শাসক অর্ঘপ্রসূন কাজি জানিয়েছেন যে তিনি অভিযোগ পেয়েছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দিয়েছেন মৃতদেহ কোনও ভাবেই আটকে রাখা যাবে না। এই বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন। যদিও মৃতের পরিবারের অভিযোগ, পুরো টাকা পায়নি বলে হাসপাতাল মৃত্যুর ঘটনা চেপে যাচ্ছে। মহকুমা শাসকের নির্দেশের পরও চরম হয়রানির শিকার তাঁরা। মৃতের ছোট ছেলে তন্ময় বারুইয়ের অভিযোগ, টাকার রফা হয়ে গেলেও হাসপাতাল টালবাহানা করছে মৃতদেহ দিতে।

হাসপাতালের ডেপুটি মেডিকেল সুপারিনটেনডেন্ট অভিষেক চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘৯ লক্ষ টাকার বিল ৭ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হয়েছে। মহকুমা শাসক ফোন করেছিলেন। উনি বিষয়টি দেখতে বলেছেন। মৃতদেহ আটকে রাখার অভিযোগ সঠিক নয়। মৃতের পরিবারের কেউ দেহ নিতে আসেননি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন