পায়ের ক্ষতস্থান অস্ত্রোপচার করার পরে সুতো থেকে সূচ না খুলেই ব্যান্ডেজ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বিরুদ্ধে। শুক্রবার হাসপাতাল সুপার উৎপল দাঁ দাবি করেন, ‘‘গাফিলতির কথা অস্বীকার করছি না। তবে অস্ত্রোপচারের পরেও ক্ষতস্থানের ভিতর সূচ ছিল, এই অভিযোগ ঠিক নয়।’’ তাঁর দাবি, পায়ের ক্ষতস্থান সেলাই করার পরে সুতো থেকে সূচটি কোনও ভাবে না খুলেই ব্যান্ডেজ করে দেওয়া হয়েছে। জরুরি বিভাগের চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলারও আশ্বাস দেন তিনি।
বৃহস্পতিবার গৃহশিক্ষকের কাছ থেকে বাড়ি ফেরার পথে বাদামতলা-চৌধুরী মিলের গলির কাছে পিক আপ ভ্যানের ধাক্কায় আহত হয় শহরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সারদাপল্লির বাসিন্দা সুদেষ্ণা কর্মকার। বর্ধমান মহিলা কলজের ইংরেজি সাম্মানিক বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রীকে টোটো ভাড়া করে হাসপাতালে পৌঁছে দেন এক মহিলা। অভিযোগ ওঠে, ওই হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসকেরা ডান পায়ের গোড়ালিতে অস্ত্রোপচার করার পর ক্ষতস্থানের ভিতরে সূচ ও এক টুকরো সুতো রয়ে যায়। পরে শহরের কাছে একটি বেসরকারি হাসপাতালে এক্স-রে করার সময় ধরা পড়ে তা। এরপরেই হাসপাতাল সুপারের কাছে অভিযোগ করেন ওই ছাত্রীর বাবা আশিস কর্মকার। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ওই ছাত্রীর শিরায় আঘাত লেগেছিল। যার চিকিৎসা বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে করা সম্ভব নয় বলে এসএসকেএমে পাঠানো হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, কাতরাতে থাকে রোগীকে দ্রুত নিয়ে যাওয়ার জন্য তাড়াতাড়িতে ভুল করে ফেলেছেন চিকিৎসকরা। হাসপাতাল সুপার বলেন, ‘‘ওই বেসরকারি হাসপাতালের সঙ্গে কথা বলার পরেই আমরা পুরো ব্যাপারটি বুঝতে পারি।’’