Panagarh Accident Case

গোপন জবানবন্দির জন্য আদালতে সুতন্দ্রার সহযাত্রীরা, পানাগড়কাণ্ডে ৫ অভিযুক্ত এখনও অধরা!

বুধবার সকালে বর্ধমানের বাসিন্দা মন্টু ঘোষ এবং তাঁর দাদা সন্তুকে থানায় ডেকে পাঠিয়েছিল পুলিশ। বেশ কিছু ক্ষণ তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৭:০৯
Share:

পানাগড়ে গাড়ুি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় হুগলির সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়ের। —ফাইল চিত্র।

পশ্চিম বর্ধমানের পানাগড়ে ‘গাড়ি রেষারেষিতে’ মৃত সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়ের এক সহযাত্রী এবং তাঁর দাদাকে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে হাজির করল কাঁকসা থানার পুলিশ। বুধবার সকালে বর্ধমানের বাসিন্দা মন্টু ঘোষ এবং তাঁর দাদা সন্তুকে থানায় ডেকে পাঠিয়েছিল পুলিশ। বেশ কিছু ক্ষণ তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। তার পর দু’জনকে কাঁকসা থানা থেকে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে নিয়ে যায় পুলিশ। জানা গিয়েছে,আদালতে গোপন জবানবন্দি দেবেন তাঁরা। অন্য দিকে, যে গাড়ির সঙ্গে সুতন্দ্রার গাড়ির রেষারেষি হয়েছিল বলে পুলিশের দাবি, ওই গাড়ির চালক-সহ পাঁচ জন এখনও অধরা। তাঁদের খোঁজ চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Advertisement

কাজের সূত্রে হুগলির মেয়ে সুতন্দ্রা যাচ্ছিলেন গয়া। কিন্তু পশ্চিম বর্ধমানের পানাগড়ে মৃত্যু হয় তাঁর। পুলিশের দাবি অনুযায়ী, মধ্যরাতে জাতীয় সড়কের উপর দু’টি গাড়ির রেষারেষিতে দুঃখজনক ভাবে প্রাণ গিয়েছে ২৭ বছরের ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থার কর্ণধার তথা নৃত্যশিল্পীর। গাড়িতে থাকা সুতন্দ্রার সঙ্গীরা ‘ইভটিজ়িং’ এবং উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ করেছিলেন। তা নস্যাৎ করে পুলিশ জানিয়েছে, এমন কথার উল্লেখ অভিযোগপত্রে নেই। রবিবার সুতন্দ্রার গাড়িতে থাকা এক সঙ্গী মঙ্গলবার কাঁকসা থানায় একটি এফআইআর করেন। সেখানে ‘ইভটিজ়িং’-এর অভিযোগ করেননি তিনি।

তবে তাঁদের গাড়ির সঙ্গে রেষারেষি এবং ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগ করেছেন একটি সাদা রঙের এসইউভি-র চালক এবং সওয়ারিদের বিরুদ্ধে। সেই গাড়ির চালক বাবলু যাদব কাঁকসারই বাসিন্দা এবং পেশায় ব্যবসাদার। ঘটনার পর থেকে আর তাঁর খোঁজ মেলেনি।

Advertisement

এই প্রেক্ষিতে পানাগড়কাণ্ডের তদন্তের জন্য বুধবার সকাল ১১টা নাগাদ কাঁকসা থানায় যান আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিকেরা। তার পরেই ‘সড়ক দুর্ঘটনায়’ মৃত যুবতীর সহযাত্রী এবং পরিচিতদের ডেকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। পুলিশ সূত্রের খবর, তাদের তলবে হুগলির চন্দননগর থেকে তিন জন কাঁকসা থানায় উপস্থিত হন। তিন যুবককে দীর্ঘ ক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। তখন কাঁকসা থানায় ছিলেন এসিপি সুমন কুমার জয়সওয়াল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement