Panagarh Accident Case

সুতন্দ্রা খুন হয়েছেন! মেয়ে ‘ইভটিজ়িং’-র শিকার, দাবি নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করলেন মা তনুশ্রী

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি পূর্ব বর্ধমানে পানাগড়ে ‘গাড়ি দুর্ঘটনা’য় মৃত্যু হয় হুগলির বাসিন্দা সুতন্দ্রার। তদন্তে পুলিশের দাবি, ওই তরুণীর গাড়ি একটি সাদা গাড়িকে ধাওয়া করেছিল। দুটি গাড়ির রেষারেষিতে দুর্ঘটনা হয়।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ মার্চ ২০২৫ ১১:৪৫
Share:

(বাঁ দিকে) সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়। (ডান দিকে) তনুশ্রী চট্টোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।

ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থার কর্ণধার ও নৃত্যশিল্পী সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়ের সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুর ঘটনায় ‘উপযুক্ত তদন্ত’ চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ পরিবার। বুধবার সুতন্দ্রার মা তনুশ্রী চট্টোপাধ্যায় আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। তাঁর বক্তব্য, মেয়েকে খুন করা হয়েছে। তাঁকে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। চলতি সপ্তাহে সংশ্লিষ্ট মামলার শুনানির সম্ভাবনা।

Advertisement

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি পূর্ব বর্ধমানে পানাগড়ে ‘গাড়ি দুর্ঘটনা’য় মৃত্যু হয় হুগলির চন্দননগরের বাসিন্দা সুতন্দ্রার। তদন্তে পুলিশের দাবি, ওই তরুণীর গাড়ি একটি সাদা গাড়িকে ধাওয়া করেছিল। দুটি গাড়ির রেষারেষিতে দুর্ঘটনা হয়। সুতন্দ্রাদের গাড়ি উল্টে গেলে ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় তরুণীর। ওই ঘটনায় সুতন্দ্রার গাড়িচালক রাজদেও শর্মা গ্রেফতার হন তনুশ্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে। সাদা গাড়িটির চালক তথা মালিক বাবলু যাদবকে কাঁকসা থানার পুলিশ গ্রেফতার করেছিল আগেই। কিন্তু শুরু থেকেই পুলিশি তদন্তে সন্তুষ্ট ছিলেন না সুতন্দ্রার মা তনুশ্রী। তাঁর দাবি, কিছু একটা লুকনো হচ্ছে। পাশাপাশি, পুলিশ ‘ইভটিজ়িং-তত্ত্ব’ খারিজ করে দিলেও তনুশ্রীর দাবি, অন্য গাড়ি থেকে তাঁর মেয়ের উদ্দেশে কটূক্তি করা হয়।

হাই কোর্টে সুতন্দ্রার মায়ের বক্তব্য, খুন করা হয়েছে তাঁর মেয়েকে। ‘ইভটিজিং’-এর শিকার হয়েছিলেন তাঁর মেয়ে। তিনি দাবি করেন, সাদা গাড়ির চালক মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালিয়েছিলেন। তার জেরে মৃত্যু হয়েছে মেয়ের। পাশাপাশি পুলিশের তদন্তে অনাস্থা জানিয়েছেন তিনি। আদালতে তনুশ্রীর আবেদন, কী ভাবে দুর্ঘটনা হল, সুতন্দ্রার মৃত্যুর কী ভাবে হয়েছে, তা নিয়ে সঠিক ভাবে তদন্ত হোক।

Advertisement

বস্তুত, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ২৭ বছরের সুতন্দ্রার মৃত্যুর পরে প্রাথমিক ভাবে অভিযোগ ওঠে, কয়েক জন মত্ত যুবক একটি সাদা গাড়ি করে এসে সুতন্দ্রাদের নীল গাড়িটিকে বার বার ধাক্কা মারেন। তার ফলে উল্টে যায় সুতন্দ্রাদের গাড়ি। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় তাঁর। এমন দাবি করেছিলেন ঘটনার সময় সুতন্দ্রার গাড়িতে থাকা সহকর্মীরা এবং গাড়িচালক। কিন্তু দিন কয়েক পরেই নিজের বয়ান বদলান গাড়িচালক। তিনি বলেন, ‘দিদির (সুতন্দ্রা) কথাতেই’ ১০০ কিলোমিটার বেগে গাড়ি ছুটিয়েছিলেন। তাতেই দুর্ঘটনা হয়েছে। তার পরেই থানায় অভিযোগ করেন সুতন্দ্রা মা। তাঁর দাবি, মেয়ের মৃত্যুর নেপথ্যে রহস্য রয়েছে। নিছক দুর্ঘটনা নয়, পরিকল্পনা করে খুন করা হয়েছে সুতন্দ্রাকে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement