পোকা ধরা মিষ্টি। —নিজস্ব চিত্র।
পাঁচ বছরের মেয়েকে খাওয়াতে গিয়ে রসগোল্লার ভিতরে দেখা গেল, ছোট ছোট কালো-হলদে পোকা। রসগোল্লার ভিতর থেকে পোকা বেরনোর দৃশ্য ক্যামেরা বন্দি করে ওই শিশুর বাবা-জেঠু ছুটলেন মিষ্টির দোকানে। অভিযোগ, দোকান থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, রসগোল্লার ভিতর থেকে পোকা বেরতেই পারে!
ওই শিশুটির বাবা, বর্ধমানের রায়ান ১ পঞ্চায়েতের নারানদিঘির বাসিন্দা সুমন্ত্র দে জেলা প্রশাসন ও জেলা স্বাস্থ্য দফতরে বিশদে ঘটনা জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন। তাতে সুমন্ত্রবাবু অভিযোগ করেছেন, মঙ্গলবার রায়ান বাসস্টপের কাছে একটি দোকান থেকে ৫ বছরের মেয়ের জন্য জন্য দু’টি রসগোল্লা কেনেন। খাওয়ানোর সময় দেখা যায়, রসগোল্লা থেকে পোকা বেরোচ্ছে। সংশ্লিষ্ট মিষ্টি ব্যবসায়ীকে জানানো হলেও তিনি গুরুত্ব দেননি। সুমন্ত্রবাবুর দাবি, “রসগোল্লা থেকে পোকা বেরনোর দৃশ্য ভিডিয়ো করে ব্যবসায়ীর কাছে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তার পরেও উনি বললেন, পোকা তো বেরতেই পারে।” ওই দোকানের মালিক শ্যামল রায় অবশ্য বলছেন, “এ রকম হওয়ার কথা নয়। কী হয়েছিল খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে।’’
সুমন্ত্রবাবুর স্ত্রী পায়েলদেবীর দাবি, “প্রথমে একটা রসগোল্লা খাওয়ানোর পরে দ্বিতীয়টা খাওয়ানোর সময় পোকা দেখা যায়। ওই পোকা মেয়ের পেটে গেলে কী হত ভেবেই ভয় পাচ্ছি।’’ মেয়েটির জেঠু সুব্রতবাবুর কথায়, “আমরা মঙ্গলবার সকালে প্রথমেই খাদ্য দফতরে যাই। সেখানকার পরামর্শ মতো জেলা স্বাস্থ্য দফতরে অভিযোগ করি। তার পর গিয়েছিলাম, ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে। সেখানে এ ধরনের মামলা নেওয়া হবে না জানার পরেই জেলা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি।’’ তাঁর দাবি, এটা শুধু তাঁদের পরিবারের বিষয় নয়। ওই পোকা কারও শরীরের ভিতরে গেলেই ক্ষতি হতে পারে। এক জন সচেতন নাগরিক হিসেবে সবাইকে জানানো উচিত মনে করেই তাঁরা অভিযোগ দায়ের করেছেন। স্থানীয় বিডিও-কে বিষয়টি দেখার জন্য বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের এক কর্তা।