‘ফ্যান পার্কে’ আইপিএলে নববর্ষ শহরে

গত বারের সাফল্যে উদ্যোক্তারা উচ্ছ্বসিক। তাই এ বার এক দিনের বদলে দু’দিন ‘আইপিএল ফ্যান পার্ক’-এর আসর বসছে দুর্গাপুরে।শনিবার বিকেলে কলকাতা-হায়দরাবাদের ম্যাচ দিয়ে শুরু হল খেলা দেখানো। রবিবারও দু’টি খেলা দেখানো হবে বলে জানান উদ্যোক্তারা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০১৭ ০১:২২
Share:

নিজস্বী: খেলা দেখার ফাঁকে ছবি তোলা। শনিবার সন্ধ্যায় দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারে চতুরঙ্গ মাঠে। নিজস্ব চিত্র

গত বারের সাফল্যে উদ্যোক্তারা উচ্ছ্বসিক। তাই এ বার এক দিনের বদলে দু’দিন ‘আইপিএল ফ্যান পার্ক’-এর আসর বসছে দুর্গাপুরে।

Advertisement

শনিবার বিকেলে কলকাতা-হায়দরাবাদের ম্যাচ দিয়ে শুরু হল খেলা দেখানো। রবিবারও দু’টি খেলা দেখানো হবে বলে জানান উদ্যোক্তারা। গত বার একটি ম্যাচে প্রায় ১২ হাজার দর্শক এসেছিলেন। এ বার তা ছাপিয়ে যাবে বলে আশা উদ্যোক্তাদের।

নববর্ষের বিকেলে শহরের ক্রিকেটপ্রেমী অনেকেরই গন্তব্য ছিল সিটি সেন্টারের চতুরঙ্গ মাঠ। গুরুগ্রাম, শোলাপুর, কোচির সঙ্গে দুর্গাপুরের এই মাঠে ফ্যান পার্কের আসর বসেছে শনি ও রবিবার। প্রিয় তারকা বা দলের খেলা দেখতে অগুণতি ভিড়। কারও হাতে ভেঁপু, কারও হাতে বেলুন। কেউ আবার মুখ ঢেকেছেন মুখোশে। জায়ান্ট স্ক্রিনে ম্যাচ দেখার ব্যবস্থা। চার-ছয়ে চিৎকার ও হাততালিতে একেবারে স্টেডিয়ামের পরিবেশ। তার মাঝে ফুড স্টলে গিয়ে রসনা পরিতৃপ্তির ব্যবস্থাও রয়েছে।

Advertisement

বিসিসিআই সূত্রে জানা যায়, স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখার সুযোগ না পাওয়ার আক্ষেপ মেটানোর জন্য জায়ান্ট স্ক্রিনে হাজার-হাজার মানুষকে এক সঙ্গে খেলা দেখাতে ২০১৫ সালে প্রথম ফ্যান পার্কের আয়োজন করা হয় দেশের ১৫টি শহরে। পরের বছর ৩৪টি শহরে ২৬ দিন ধরে খেলা দেখানো হয়। এ বছর ২১টি রাজ্যের ৩৬টি শহরে ফ্যান পার্কের আয়োজন হয়েছে।

গত বছর এ রাজ্যে শুধু দুর্গাপুরকেই এক দিনের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছিল। এ বার দুর্গাপুরে দু’দিন এবং ১৯ মে খড়্গপুরে এই আয়োজন হয়েছে। ইতিমধ্যে দু’দিন খেলা দেখানো হয়েছে শিলিগুড়িতেও। আইপিএলের রুট ম্যানেজার রঞ্জিত দত্ত বলেন, ‘‘দুর্গাপুরে গত বছর আমরা ভাল সাফল্য পেয়েছি। কলকাতা নাইট রাইডার্সের খেলা না দেখানো নিয়ে অনেকেই আক্ষেপ করেছিলেন। এ বার আমরা দুর্গাপুরবাসীর সেই আক্ষেপ মিটিয়ে দিলাম!’’

এ দিন কেকেআর গোড়াতেই পরপর উইকেট হারানোয় হা-হুতাশ শুরু হয়েছিল। কিন্তু রবিন উত্থাপ্পা ও মনীশ পাণ্ডের ব্যাটিংয়ে তা ভোলেন দর্শকেরা। আর কেকেআরের জয়ের পরে বেজায় খুশি সকলে। কলেজ পড়ুয়া স্নেহাংশু বসু, সুনয়না রায়, পিনাকী চক্রবর্তীদের কথায়, ‘‘এক সঙ্গে বসে খেলা দেখা, প্রিয় দলের জয়— নববর্ষের শুরুটা বেশ ভাল কাটল।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন