জেলে বন্দি দ্বিগুণ, মুশকিলে কালনা

মহকুমা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কালনা উপসংশোধনাগারে ৭৩ জন বন্দি থাকার পরিকাঠামো রয়েছে। এর মধ্যে পুরুষ বন্দি থাকার কথা ৪৯ জন। সেখানে সোমবার দুপুর পর্যন্ত বন্দির সংখ্যা ছিল দেড়শোরও বেশি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কালনা শেষ আপডেট: ১৩ জুন ২০১৭ ০১:৩৭
Share:

উপসংশোধনাগারের যা পরিকাঠামো, বন্দির সংখ্যা তার দ্বিগুণ। সমস্যা এড়াতে কালনা উপসংশোধনাগার থেকে দ্রুত কয়েকজন বন্দিকে অন্য কোথাও পাঠানোর আর্জি জানিয়েছেন কারা কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি নিয়ে বর্ধমান ডিভিশনের ডিআইজির হস্তক্ষেপও চেয়েছেন তারা।

Advertisement

মহকুমা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কালনা উপসংশোধনাগারে ৭৩ জন বন্দি থাকার পরিকাঠামো রয়েছে। এর মধ্যে পুরুষ বন্দি থাকার কথা ৪৯ জন। সেখানে সোমবার দুপুর পর্যন্ত বন্দির সংখ্যা ছিল দেড়শোরও বেশি। অবস্থা এমনই দাঁড়ায় যে, সং‌শোধনাগারের ভিতরের একটি গোডাউন খালি করে জরুরি ভিত্তিতে আলো, পাখা লাগিয়ে বন্দিদের সেখানে রাখা হয়। কারাগারের এক কর্তার দাবি, এত বেশি বন্দি হওয়ায় তাদের খাবার, শৌচাগারের মতো সুবিধে দিতে অসুবিধে হচ্ছে। মুশকিল হচ্ছে নজরদারিতেও। সংশোধনাগার সূত্রে জানা যায়, সাধারণত কালনায় কোনও সমস্যা হলে বর্ধমান সদরের স‌ংশোধনাগারে পাঠআনো হয় বন্দিদের। কিন্তু সেখানেই নির্মাণ কাজ চলায় বন্দি পাঠানো যাচ্ছে না।

কিন্তু বন্দি এত বাড়ল কেন? উত্তর খুঁজতে গিয়ে জানা গিয়েছে, বারুইপাড়া, হরিহরপাড়া-সহ তিনটি গুরুত্বপূর্ণ মামলার অভিযুক্তদের জামিন না মেলায় তারা রয়ে গিয়েছেন সংশোধনাগারে। এর পাশাপাশি বুধবার থেকে সোমবার পর্যন্ত একটানা কাসনা আদালতের আইনজীবীরা কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়াই জেলবন্দি আরও অনেকে জামিন পাননি। কালনার জেলর বিপ্লব মজুমদার বলেন, ‘‘পরিস্থিতির কথা জানানো হয়েছে বর্ধমান শাখার ডিআইজি অরিন্দম সরকার এবং কালনার মহকুমাশাসককে। আশা করছি অন্য কোথাও বেশ কিছু বন্দিকে সরানোর নির্দেশ মিলবে।’’ জেল সুপার তথা মহকুমাশাসক নীতিন সিংহানিয়া বলেন, ‘‘বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন