প্রশাসনের নির্দেশ, ঢাকা হল প্রতীক

শনিবার বেলা ১১টা নাগাদ নীল, লাল বা হলুদ কাপড়ে লোগো ঢেকে দেওয়া হয়।

Advertisement

প্রণব দেবনাথ

কাটোয়া শেষ আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০১৯ ০০:২৭
Share:

ঢাকা হল কন্যাশ্রী প্রকল্পের লোগো। ছবি: অসিত বন্দ্যোপাধ্যায়

‘কন্যাশ্রী, শিক্ষাশ্রী ও গানমেলা’, কাটোয়ার এই মেলায় কন্যাশ্রী প্রকল্পের লোগো ব্যবহার ঘিরে বিতর্ক উস্কে দিয়েছিল বিরোধী দলগুলি। সরব হয়েছিল তৃণমূলের এক কাউন্সিলরও। বিতর্ক তৈরির ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শনিবার মেলা মঞ্চ, শহরের নানা জায়গায় থাকা তোরণগুলিতে থাকা লোগো কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে, জানান আয়োজক মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদক রণজিৎ চট্টোপাধ্যায়। রণজিৎবাবু সম্পর্কে কাটোয়ার বিধায়ক তথা পুরপ্রধান রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের ভাইপো। রবীন্দ্রনাথবাবু শনিবার বলেন, ‘‘এই মেলার সঙ্গে আমি কোনও দিনই যে যুক্ত ছিলাম না, তা সবাই জানেন।’’

Advertisement

শনিবার বেলা ১১টা নাগাদ নীল, লাল বা হলুদ কাপড়ে লোগো ঢেকে দেওয়া হয়। পাশাপাশি, মেলার মূল মঞ্চে ডান দিকে থাকা ‘কন্যাশ্রী’ লোগোটিও খুলে নেওয়া হয়। সেখানে থার্মোকল দিয়ে ফুটবল, ক্রিকেট-সহ নানা খেলাধুলোর প্রতীক-সহ পুতুল টাঙানো হয়েছে।

বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরেই পদক্ষেপ করার কথা জানিয়েছিল মহকুমা প্রশাসন। এ দিন মহকুমাশাসক (কাটোয়া) প্রশান্তরাজ শুক্লা বলেন, ‘‘লোগো ব্যবহার ঠিক হয়নি। মেলা কমিটিকে তা সরাতে বলা হয়।’’ রণজিৎবাবুও বলেন, ‘‘পদাধিকার বলে মহকুমাশাসক আমাদের সংস্থার সভাপতি। তাঁর নির্দেশেই লোগো সরানো হয়েছে। তবে গত তিন বছর ধরে মেলা করছি আমরা। আগে এমন কোনও অভিযোগ ওঠেনি।’’

Advertisement

এ দিকে, মহকুমা প্রশাসনের ‘সভার কার্যবিবরণী বই’-তে দেখা যাচ্ছে, পুরপ্রধান রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের ‘অনুরোধে’ মেলা পরিচালনার দায়িত্ব ক্রীড়া সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়ার বিষয়ে ‘সম্মতি’ জানিয়েছেন সদ্য প্রাক্তন মহকুমাশাসক সৌমেন পাল। এ দিন এ বিষয়ে বিধায়ক রবীন্দ্রনাথবাবু বলেন, ‘‘মহকুমা প্রশাসনের সভায় কোনও দিনই মেলা নিয়ে কিছু বলিনি আমি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন