তিন দিনের পুলিশি হেফাজতে থাকতে হবে ধৃতকে। —নিজস্ব চিত্র।
বিজেপি নেত্রীর অশালীন ভিডিও ছড়ানোর অভিযোগে গ্রেফতার হলেন দলেরই এক সদস্য। অভিযুক্ত বজরং দলেরও সক্রিয় সদস্য বলে পরিচিত। ধৃত ব্যক্তি পেশায় আইনজীবী। বুধবার ধৃতকে কাটোয়া আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক তিন দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।
কাটোয়া থানা সূত্রে খবর, মোবাইল লোকেশন ট্র্যাক করে অভিযুক্তের অবস্থান চিহ্ণিত করার পরে মঙ্গলবার রাতে তাঁকে উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতের আনন্দনগর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার অশোকনগরের বাসিন্দা বছর পঁয়ত্রিশের ওই অভিযুক্ত ব্যক্তি বারাসত আদালতের জুনিয়র আইনজীবী। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মাসখানেক আগে বিজেপির জেলাস্তরের এক নেত্রীর অশালীন ভিডিয়ো ফেসবুকের একটি গ্রুপে পোস্ট করা হয়েছিল। তদন্তে জানা গিয়েছে, ভিডিয়ো সম্পাদনা করে নেত্রীর মুখ বসানো হয়েছিল। সমাজমাধ্যমে ভিডিয়োটি পোস্ট হওয়ার পরে ভাইরাল হয়ে যায়। বিষয়টি নেত্রীর নজরে আসতেই তিনি কাটোয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমেছিল সাইবার ক্রাইম সেল।
পুলিশের দাবি, ধৃত ব্যক্তি স্বীকার করেছেন যে, ভিডিয়োটি তাঁর মোবাইল থেকে পোস্ট হয়েছিল। তবে ভিডিয়োটি কে বা কারা কী ভাবে তৈরি করেছিলেন, সে বিষয়ে কিছু জানেন না বলে দাবি ধৃতের। তদন্তকারীদের অনুমান, মানহানি করার উদ্দেশ্যেই ভিডিয়োটি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তের মোবাইল বাজেয়াপ্ত করে ফরেন্সিক ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগকারিণী বলেন, ‘‘ধৃত ব্যক্তিকে আমি আগে চিনতাম না। ধরা পড়ার পরে ওঁর নাম জেনেছি। কী উদ্দেশ্যে এমন নোংরা কাজ করলেন জানি না। মনে হচ্ছে এর নেপথ্যে আরও বেশ কয়েক জন যুক্ত।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমি চাই পুলিশ সঠিক তদন্ত করে দোষীদের কঠোর শাস্তি দিক।’’