কাটোয়া সাব ডিভিশনাল হাসপাতাল। —ফাইল চিত্র।
বকেয়া দু’বছরের বিল, কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালকে জ্বালানি দিতে আপত্তি হাসপাতাল সংলগ্ন একটি পেট্রল পাম্পের। ফলে সঙ্কটে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
সূত্রের খবর, কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে অত্যাবশ্যক পরিষেবা-সহ বিভিন্ন বিভাগ ও মর্গ মিলে বহু জেনারেটর চলে। আর সেই জেনারেটর সচল রাখা, হাসপাতালের নিজস্ব অ্যাম্বুল্যান্স এবং চিকিৎসকদের অন-কলে ব্যবহৃত গাড়িগুলির জন্য প্রতিদিন বিপুল পরিমাণের জ্বালানির প্রয়োজন। আর তা সরবরাহ করত হাসপাতাল সংলগ্ন একটি পেট্রল পাম্প। কিন্তু সম্প্রতি জ্বালানির বকেয়া টাকা না মেটানোয় জ্বালানি সরবরাহ করতে আপত্তি জানিয়েছে তারা।
হাসপাতালের সহকারী সুপার সৌমাশিস রাউত জানান, বিভিন্ন বিভাগ ও মর্গের মত জায়গা যেখানে সর্বক্ষণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের প্রয়োজন সেখানে কখনও বিদ্যুৎবিভ্রাট হলে সমস্যায় পড়তে পারেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং সেখানে চিকিৎসার জন্য আসা রোগী ও তাঁর পরিজনেরা। তাই হাসপাতালের তরফ সেই পেট্রল পাম্প কর্তৃপক্ষের কাছে জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ না করার অনুরোধ জানিয়েছেন।
অন্য দিকে, পেট্রল পাম্প কর্তৃপক্ষের দাবি, বিগত তিন বছরে বকেয়া বিলের পরিমাণ ৭ লক্ষ টাকা ছাড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে হাসপাতালকে জ্বালানি সরবরাহ করা সম্ভব নয় বলে জানান তাঁরা।
বকেয়া বিল মেটানোর আবেদন জানিয়ে স্বাস্থ্য দফতরকে চিঠি পাঠিয়েছেন বলে জানান হাসপাতাল সুপার বিপ্লব মণ্ডল।
স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর এমন পরিস্থিতির জন্য প্রশাসনের ব্যর্থতা বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সময়মত পদক্ষেপ না করলে পরিস্থিতি আরও জটিল আকার ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা তাঁদের।