River Erosion

কুনুরের গ্রাসে চাষের জমি, দ্রুত পদক্ষেপের আবেদন

কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে, বিশেষ করে সুন্দিয়ারার কালীদহ সেতুর পরে থেকে ভাঙনের সমস্যা শুরু হয়েছে। এলাকাবাসী জানান, এই জায়গা থেকে নদীর দু’পাড় বেশ উঁচু।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাঁকসা শেষ আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০২৩ ০৮:৫৬
Share:

কাঁকসার দোমড়ায় নদী ভাঙন। নিজস্ব চিত্র

গত কয়েক বছর ধরেই কুনুরের জলে ভাঙছে পাড়। পরিস্থিতি এমনই যে, চলতি শীত থেকেই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। তা না হলে, অদূর ভবিষ্যতে বহু চাষ জমি জলের তলায় চলে যাবে। এমনই আশঙ্কা স্থানীয় বাসিন্দাদের। তাঁরা জানাচ্ছেন, সমস্যাটি প্রবল কাঁকসার কালীদহ সেতু থেকে দোমড়া পর্যন্ত, প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকায়।

Advertisement

ওই তিন কিলোমিটার এলাকায় কুনুরের দু’পাড়েই রয়েছে বিস্তীর্ণ চাষজমি। কাঁকসার মলানদিঘি, বনকাটি, ত্রিলোকচন্দ্রপুরের পাশাপাশি আউশগ্রাম ২ ব্লকের বহু এলাকার মানুষ চাষাবাদের জন্য এই নদীর উপরে ভরসা করেন। বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে নদী সেচপ্রকল্প। বছরভর সেগুলি থেকে জল নিয়ে চাষাবাদ করেন চাষিরা।

কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে, বিশেষ করে সুন্দিয়ারার কালীদহ সেতুর পরে থেকে ভাঙনের সমস্যা শুরু হয়েছে। এলাকাবাসী জানান, এই জায়গা থেকে নদীর দু’পাড় বেশ উঁচু। এই অংশে তাই ভাঙনও বেশি। স্থানীয় বাসিন্দা দীপ মণ্ডল, স্বরূপ ঘোষেরা বলেন, “বছরভর সে ভাবে জল থাকে না কুনুরে। কিন্তু বর্ষায় ভয়াবহ রূপ নেয় এই নদী। আশপাশের বহু কৃষিজমিই জলের তলায় চলে যায়। আর সেখান থেকেই তৈরি হয় ভাঙনের সমস্যা।”

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নদীর গতিপথের মাঝেমধ্যেই পরিবর্তন হচ্ছে। এর অন্যতম কারণ, নদীর মাঝে বালির চর তৈরি হয়েছে। বেশ কয়েক বছর ধরে নদীটি দোমড়া গ্রাম ঘেঁষে যাচ্ছে। ফলে সেখানেও ভাঙন দেখা যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই বহু চাষজমি জলের তলায় চলে গিয়েছে বলে জানান বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দা দোমড়ার বিধান মুর্মু, স্বপন হাঁসদাদের আশঙ্কা, “বছরভর জমিতে চাষ করেই সংসার চলে। কিন্তু এখন যা পরিস্থিতি, তাতে দ্রুত ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নিতে হবে। না হলে, জীবন-জীবিকা, সবই প্রশ্নেরমুখে পড়বে।”

তবে বিষয়টি নিয়ে পশ্চিম বর্ধমান জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি সমীর বিশ্বাসের আশ্বাস, “সংশ্লিষ্ট এলাকার সমস্যা খতিয়ে দেখা হবে। অবশ্যই উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন