গলসির সভায় অভিষেক বন্দ্যোাপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র
যারা ৩৪ বছরের জগদ্দল পাথরকে সরিয়ে বাংলা জয় করতে পারে, তারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে চার বছরের শিশু বিজেপিকে ভারতছাড়া করে দিল্লিতে ধর্ম নিরপেক্ষ সরকার তৈরি করবে— শুক্রবার গলসি হাইস্কুল মাঠে জনসভায় এমনই দাবি করলেন দলের সর্বভারতীয় যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
১৯ জানুয়ারি ব্রিগেড সফল করার ডাক দিয়ে এই সভা হয়। অভিষেক দাবি করেন, এ বারের ব্রিগেডে দেশের একাধিক দলের নেতারা থাকবেন। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, শরদ পাওয়ার, অখিলেশ যাদব, তেজশ্রী যাদব, শত্রুঘ্ন সিংহ থাকবেন বলেও দাবি করেন তিনি। বিজেপিকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘‘বাংলার রসগোল্লা যারা খাবে ভেবেছিল, তাদের যে করুণ পরিণতি হয়েছে ভারতবর্ষের মানুষ তা দেখেছেন। বিধানসভা ভোটে তারা গো-হারা হেরেছে।’’ এই সরকারের আমলে কী কী উন্নয়ন হয়েছে বক্তব্যে তার তালিকাও দেন তিনি।
এ দিন ২টোয় সভা শুরুর কথা ছিল। দুপুর ১২টা থেকেই গলসি ১, ২ ভাতার, আউশগ্রাম, বর্ধমান, দুর্গাপুর, আসানসোল-সহ নানা এলাকা থেকে লোক আসা শুরু হয় মাঠে। সভার জন্য জাতীয় সড়কের দুই দিকে সার্ভিস রোড ও উড়ালপুলের কলকাতামুখী লেনে যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছিল প্রশাসন। ফলে চরম অসুবিধার মধ্যে পড়েন পথচলতি মানুষেরা। ভিড় কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে যায় গলসি বাজার। পাঁচ জায়গায় বসানো জায়েন্ট স্ক্রিনে সভা দেখেন অনেকে। আউশগ্রাম ও বুদবুদ থেকে আসা রাজীব মণ্ডল, আসরাফুল মণ্ডলেরা বলেন, ‘‘বেলা ১১ টায় বাড়ি থেকে বের হয়েও সভাস্থলে পৌঁছতে পারলাম না। এত মানুষ আসবে জানলে সকালে চলে আসতাম।’’
সভায় ছিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি ও রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, মন্ত্রী মলয় ঘটক, দুই সাংসদ মমতাজ সঙ্ঘমিতা ও সুনীল মণ্ডল। ছিলেন জেলার বেশির ভাগ বিধায়ক, জেলা পরিষদের সভাধিপতি, আসানসোলের মেয়র জিতেন তেওয়ারি। স্বপনবাবু বলেন, ‘‘সভায় যাঁরা এসেছেন তাঁরা যদি পাঁচ জন করেও লোক নিয়ে যান, তা হলে দুই বর্ধমান থেকেই ব্রিগেড ভরে যাবে।’’’ তৃণমূল নেতাদের দাবি, পঞ্চাশ হাজারের বেশি লোক হয়েছে সভায়। দলের জেলা যুব সভাপতি সুভাষ মণ্ডল বলেন, ‘‘গলসি মাঠে সভা হওয়ায় এলাকার মানুষের কিছুটা অসুবিধা হয়েছে। এই অসুবিধার জন্য আমরা ক্ষমা চাইছি।’’