একরত্তির মাথায় বড় টিউমার, বিপাকে পরিবার

যত দিন যাচ্ছে মাথার উপরে গজিয়ে ওঠা মাংসপিণ্ড বেড়ে চলেছে। পাঁচ মাসের মেয়ের চিকিৎসা নিয়ে চিন্তায় পড়ে গিয়েছেন পূর্ব বর্ধমানের গলসির বাবলা গ্রামের কাজিবুল শেখ। পেশায় নির্মাণকর্মী কাজিবুলের কাছে কার্যত ‘গোদের উপর বিষফোঁড়া’ হয়ে দাঁড়িয়েছে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে নামের পদবি ভুল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ০৯ মার্চ ২০১৮ ০১:৩৯
Share:

যত দিন যাচ্ছে মাথার উপরে গজিয়ে ওঠা মাংসপিণ্ড বেড়ে চলেছে। পাঁচ মাসের মেয়ের চিকিৎসা নিয়ে চিন্তায় পড়ে গিয়েছেন পূর্ব বর্ধমানের গলসির বাবলা গ্রামের কাজিবুল শেখ। পেশায় নির্মাণকর্মী কাজিবুলের কাছে কার্যত ‘গোদের উপর বিষফোঁড়া’ হয়ে দাঁড়িয়েছে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে নামের পদবি ভুল। শেখের জায়গায় তা হয়ে রয়েছে মিদ্যা। ফলে, ওই কার্ডেরও সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে জানান তিনি।

Advertisement

যদিও গলসি ২ বিডিও শঙ্খ বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশ্বাস, “আমাদের কাছে আবেদন করলে যত দ্রুত সম্ভব ওই কার্ড ঠিক করে দেওয়া হবে।”

গত বছর অক্টোবরে কাজিবুল ও মেহেরুন বিবির দ্বিতীয় সন্তান বেবির জন্ম হয়। তাঁদের বড় মেয়ে লক্ষ্মী পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী। কাজিবুল বলেন, “বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে জন্মের পরেই মাথার উপরে মাংসপিণ্ডটি চোখে পড়ে। যত দিন যায়, ওই সেটি বড় হতে থাকে। হাসপাতাল থেকে জানানো হয়, তা আসলে টিউমার।’’ তিনি জানান, বর্ধমান মেডিক্যাল থেকেই কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখান থেকে বাঙ্গুরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসকেরা এমআরআই-সহ নানা পরীক্ষা করে ২৯ মার্চ যেতে বলেছেন বলে জানান তিনি।

Advertisement

শিশুটির মা বলেন, “বুকের দুধ খাওয়ানো যায় না, পাশ ফিরিয়ে শোওয়ানো যায় না। তোলা যায় না। মেয়েটা খুব কষ্ট পাচ্ছে।” বেবির মামা শেখ টুটুলের দাবি, “টিউমারটির ওজনই প্রায় ৫ কিলোগ্রাম। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ অস্ত্রোপচার করার মতো ঝুঁকি নেননি।” চিকিৎসা করানোর জন্য শিশুকে বাইরে নিয়ে যাওয়ার সময়ে মাথার উপরে টিউমারটি অন্য কাউকে ধরে নিয়ে যেতে হয়। শিশুটির দিদি লক্ষ্মী খাতুন বলে, “বোন খুব কষ্ট পাচ্ছে। টিউমারটি বাদ দিয়ে দিলে বোন হয়তো আমার মতো খেলতে পারবে!”

এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ জানান, শিশুটির পরিবারকে এমআরআই করাতে বলা হয়েছে। সেই রিপোর্ট এখনও তাঁদের হাতে আসেনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন