Swasthya Sathi Scheme

হাসপাতাল, বাড়িতে পৌঁছে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড

গুসকরায় এক অসুস্থের বাড়িতে কার্ড পৌঁছে দেন পুরসভার কর্মীরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০২১ ০৬:৪৫
Share:

সুলেখাদেবীকে কার্ড। নিজস্ব চিত্র

কোথাও বাড়িতে গিয়ে, কোথাও আবার একেবারে হাসপাতালে পৌঁছে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড তুলে দিলেন প্রশাসনের কর্তারা। সোমবার গলসি ২-এর বিডিও বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এসে এক রোগীর পরিজনের হাতে কার্ড দিয়ে যান। গুসকরায় এক অসুস্থের বাড়িতে কার্ড পৌঁছে দেন পুরসভার কর্মীরা।

Advertisement

গলসি ২ ব্লকের বেনেপুকুরপাড় এলাকার বাসিন্দা, বছর একত্রিশের সুলেখা আঁকুড়ে সোমবার সকালে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। তাঁর পরিজনেরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে তিনি শরীরের নানা জায়গায় ব্যথা ও শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। হাসপাতালে দেখানোর পরে, চিকিৎসকেরা তাঁকে ভর্তি করানোর পরামর্শ দেন। তাঁর স্বামী সমীরকুমার আঁকুড়ে জানান, তাঁদের আর্থিক অবস্থা ভাল নয়। চিকিৎসার জন্য স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের প্রয়োজন পড়ে। তাই স্ত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর পরেই যোগাযোগ করেন ব্লক প্রশাসনের সঙ্গে।

এ দিন সন্ধ্যায় বিডিও সঞ্জীব সেন বর্ধমান হাসপাতালে আসেন। ওই রোগীর ছবি তুলে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড তৈরির ব্যবস্থা করেন তিনি। সেই কার্ড ও মুখ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছাবার্তা রোগীর বাড়ির লোকের হাতে তুলে দেন। জরুরি ভিত্তিতে প্রশাসন কার্ড তৈরি করে দেওয়ায় তাঁরা খুশি, জানান সমীরবাবু। বিডিও বলেন, ‘‘সমস্যায় পড়া মানুষজনকে পরিষেবা দেওয়াই আমাদের কাজ। এই কাজ করতে পেরে খুশি।’’

Advertisement

গুসকরা পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সংহতিপল্লিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ দিন এলাকাবাসীর স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করানোর জন্য শিবির হয়। কিন্তু সেখানে হাজির হতে পারেননি বছর তিরিশের নব্যেন্দু চট্টোপাধ্যায়। পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কয়েকদিন আগে ব্রেন স্ট্রোক হয় নব্যেন্দুবাবুর। তিনি এখন শয্যাশায়ী। গুসকরা পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য কুশল মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এই খবর জানার পরে, ওই যুবকের বাড়িতে গিয়ে তাঁর ও তাঁর বাবা-মায়ের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড তৈরি করে হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।’’ নব্যেন্দুবাবুর বাবা সুনীল চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ছেলে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। চিকিৎসা করাতে সমস্যা হচ্ছিল। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড মেলায় চিকিৎসা করাতে সুবিধা হবে বলে আশা করছি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement