মাড়োয়ারি হাসপাতাল চালু রাখার আর্জি

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এই পুরনো হাসপাতালটিতে হৃদরোগ ও কিডনি সংক্রান্ত চিকিৎসা ছাড়া, অন্য চিকিৎসা হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রানিগঞ্জ শেষ আপডেট: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০২:১৯
Share:

রানিগঞ্জে মাড়োয়ারি হাসপাতালের সামনে সভা। নিজস্ব চিত্র

স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশের পরে, রানিগঞ্জের মাড়োয়ারি হাসপাতাল বন্ধ করে দেওয়ার কথা জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। এই পরিস্থিতিতে কাজ হারাবেন প্রায় দেড়শো কর্মী। পাশাপাশি, নানা এলাকার যে সব আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষ এই হাসপাতাল থেকে ন্যূনতম মূল্যে স্বাস্থ্য-পরিষেবা পেতেন, তাঁরাও সমস্যা পড়বেন। এই পরিস্থিতিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক, অরাজনৈতিক সংগঠন হাসপাতালটি যাতে চালু থাকে, সে বিষয়ে সরকারের কাছে আর্জি জানাচ্ছে।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এই পুরনো হাসপাতালটিতে হৃদরোগ ও কিডনি সংক্রান্ত চিকিৎসা ছাড়া, অন্য চিকিৎসা হয়। রানিগঞ্জ, জামুড়িয়া, পাণ্ডবেশ্বর, অণ্ডালের পাশাপাশি বাঁকুড়া, বীরভূমের নানা এলাকার বাসিন্দাদের অন্যতম ভরসা এই হাসপাতালটি। এই মুহূর্তে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন প্রসূতি বীরভূমের কেন্দ্রাগড়িয়ার রুম্পা বাউড়ি, রানিগঞ্জের মহাবীর কোলিয়ারি এলাকার সারদা বিশ্বকর্মা। তাঁদের পরিবারের সদস্যেরা জানান, নার্সিংহোম বা অন্য বেসরকারি হাসপাতালের তুলনায় এখানে অর্ধেকেরও কম খরচে স্বাস্থ্য পরিষেবা মিলেছে।

নাগরিক সংগঠন ‘রানিগঞ্জ সিটিজেন্স ফোরাম’-এর সভাপতি রামদুলাল বসুর আর্জি, ‘‘হাসপাতালটি যাতে চালু থাকে, সে জন্য সরকারের কাছে আর্জি জানানো হবে। এলাকার দুঃস্থ মানুষদের অন্যতম ভরসার জায়গা এই হাসপাতাল।’’ হাসপাতাল বন্ধ না করার আর্জি জানিয়ে শুক্রবার সিটুর নেতৃত্বে একটি সভা আয়োজিত হয়। হাসপাতালের সামনে হওয়া ওই সভা থেকে সিটু নেতা সুপ্রিয় রায়েরও দাবি, প্রয়োজনে সরকার এই হাসপাতালটি চালু রাখুক। রানিগঞ্জের সিপিএম বিধায়ক রুনু দত্তের বক্তব্য, ‘‘ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্লিনিক্যাল এস্টাবলিসমেন্ট অ্যাক্ট অবশ্যই ভাল উদ্যোগ। কিন্তু তার প্রভাবে গরিব মানুষের ভরসার কোনও হাসপাতাল বন্ধ হলে সেটা স্বাস্থ্য-পরিষেবার উপরেই আঘাত হানবে।’’

Advertisement

এই পরিস্থিতিতে সমস্যায় পড়েছেন হাসপাতালের কর্মীরাও। হাসপাতালের অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার শুভেন্দু আঢ্য ও সন্তোষকুমার সিংহেরা জানান, হাসপাতাল যাতে চালু থাকে সে জন্য স্বাস্থ্য দফতরের কাছে আর্জি জানানো হবে।

হাসপাতালের যুগ্ম সম্পাদক রাজেন্দ্রপ্রসাদ খেতান অবশ্য বলেন, “সরকারি সহযোগিতা না পেলে আইন মেনে হাসপাতাল চালানো আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়।’’ পশ্চিম বর্ধমানের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক দেবাশিস হালদার বলেন, ‘‘বিষয়টি আমার এক্তিয়ারের বাইরে। তবে আমার কাছে কেউ জানালে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরে তা জানানো হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন