পশ্চিমবঙ্গ-ঝাড়খণ্ড সীমানায় পুলিশের নজর। নিজস্ব চিত্র
ভোট-মরসুমে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের নিরাপত্তা আঁটোসাঁটো করতে তৎপর হয়েছে জেলা প্রশাসন। অন্য রাজ্য ও জেলার সীমানা এলাকাগুলি-সহ পশ্চিম বর্ধমানের নানা প্রান্তে নতুন করে ৪২টি ‘নাকা পয়েন্ট’ তৈরি করা হয়েছে। নাকা পয়েন্টগুলিতে ২৪ ঘণ্টা নজরদারির জন্য ব্লক ও থানার আধিকারিকদের নিয়ে প্রায় ২৭টি নজরদার দলও তৈরি করা হয়েছে বলে জেলা প্রশাসন জানিয়েছে।
কিন্তু কেন এমন তোড়জোড়? জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, নির্বাচনী আচরণবিধি চালুর কয়েক দিন পরেই দুর্গাপুরে এক মোটরবাইক আরোহীর কাছ থেকে হিসেব বহির্ভূত কয়েক লক্ষ টাকা মেলে বলে জানিয়েছিল পুলিশ। ওই ঘটনার পরেই জেলা জুড়ে এমন সতর্কতা অবলম্বন করা হয়।
নির্বাচন প্রক্রিয়া চলাকালীন জেলা জুড়ে এমন নজরদারি চালানোর দায়িত্বপ্রাপ্ত এডিডিএ-র মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক অরুণ প্রসাদ বলেন, ‘‘সীমানা এলাকা-সহ জেলার সর্বত্রই বিশেষ নজর রাখা হয়েছে।’’ প্রশাসন জানিয়েছে, নাকা পয়েন্টগুলিতে সশস্ত্র পুলিশ, সিসিটিভি ক্যামেরা থাকছে।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
প্রশাসন জানায়, মূলত ভিন্-রাজ্য বা জেলা থেকে অবৈধ টাকা, অস্ত্র ঢোকা বন্ধ করতেই এই পদক্ষেপ। অতিরিক্ত জেলাশাসক (নির্বাচন) অরিন্দম রায় বলেন, ‘‘জেলায় সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সম্পন্ন করতে কমিশনের এই নির্দেশগুলি কঠোর ভাবে মানা হচ্ছে।’’
ঘটনাচক্রে, ভোট ঘোষণার অনেক আগে থেকেই পশ্চিমবঙ্গ-ঝাড়খণ্ড সীমানায় রূপনারায়ণপুর, ডুবুরডিহি, বরাকর, চিত্তরঞ্জন, পশ্চিম বর্ধমান-পুরুলিয়া সীমানায় ডিসেরগড়ে অতিরিক্ত নাকা চেকিং পয়েন্ট করা হয়েছে। বসানো হয়েছে একাধিক ‘ওয়াচ টাওয়ার’। প্রায় তিনশো সিসিটিভি ক্যামেরাও বসানো হয়েছে। মনোনয়ন পর্ব শুরু হওয়ার দিন থেকেই নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে নজরদারি আরও বাড়ানোর কথা জানিয়েছেন আসানসোল-দুর্গাপুরের পুলিশ কমিশনার লক্ষ্মীনারায়ণ মিনা।