সৌমিত্র খাঁ । —ফাইল চিত্র।
কালো পতাকা দেখানোর অভিযোগ উঠল বিষ্ণুপুর লোকসভার বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁয়ের প্রচারে। উঠল ‘গো-ব্যাক’ ধ্বনিও। শুক্রবার খণ্ডঘোষের কৈয়র পঞ্চায়েতের তোড়কোনা গ্রামের ঘটনা।
হাইকোর্টের নির্দেশ বাঁকুড়ায় প্রচারে ঢুকতে পারছেন না সৌমিত্র। খণ্ডঘোষেই প্রচার করছেন তিনি। আগের দিনই খণ্ডঘোষের বোঁয়াইচণ্ডী গ্রামে পুজো দিতে গিয়ে তাঁকে ‘চৌকিদার চোর হ্যায়’ লেখা প্ল্যাকার্ডের মুখোমুখি হতে হয়। যদিও প্ল্যাকার্ডটির আশপাশে কোনও দলীয় পতাকা বা কর্মী দেখা যায়নি।
এ দিন দুপুরে দলের কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে তোড়কোনা গ্রামে প্রচারে আসেন সৌমিত্র। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাজারের ভিতর ঢুকতেই কয়েকজন কালো পতাকা দেখাতে শুরু করেন। কেউ কেউ ‘গো-ব্যাক’ বলে চেঁচিয়েও ওঠেন। সৌমিত্রর দাবি, “তৃণমূল এখন ‘ব্ল্যাক লিস্ট’। সে জন্য ওই দলের কর্মীরা হতাশ হয়ে কালো পতাকা নিয়ে দাঁড়িয়েছিল। আমি তাঁদের গেরুয়া পতাকা দেখিয়ে বিজেপিতে আসার জন্যে বলেছি।’’ তাঁর টিপ্পনী, “আসলে ওঁরা বলতে চাইছিলেন, আমরা তোমার সঙ্গে রয়েছি। তোমাকে স্বাগত জানাচ্ছি।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
যাঁর নেতৃত্বে ঘটনাটি ঘটেছে বলে অভিযোগ খণ্ডঘোষ ব্লকের সেই তৃণমূল নেতা শ্যামল দত্তের দাবি, “দিদির দয়ায় উনি সাংসদ হয়েছিলেন। অথচ বিপ্লবী বটুকেশ্বর দত্ত স্মৃতি বিজরিত তোড়কোনা গ্রামে কোনও দিন পা রাখেননি। উন্নয়নের টাকা খরচের বদলে ফেরত চলে গিয়েছে। সে জন্য এলাকার মানুষ ক্ষোভে কালো পতাকা দেখিয়ে ফিরে যেতে বলেছেন।’’ স্থানীয় বিধায়ক নবীনচন্দ্র বাগেরও দাবি, “তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা এ সবের মধ্যে নেই। তবে স্থানীয় মানুষজন যদি অপছন্দ করেন, আমরা কী করতে পারি।’’
এ দিনই, বর্ধমান-দুর্গাপুরে বিজেপি এখনও প্রার্থী না দেওয়া নিয়ে কটাক্ষ করেন জেলা সভাপতি স্বপন দেবনাথ। মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় তিনি বলেন, “সিপিএম-বিজেপির মধ্যে কি তলায় তলায় সমঝোতা হয়ে গেল! বুঝতে পারছি না। ভাবছি বিজেপিকে প্রার্থী ধার দেব বলে প্রস্তাব দেব।’’ বিজেপির রাজ্য কমিটির এক কর্তার আশা, সোমবারের মধ্যে ওই কেন্দ্রে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করতে পারে দল।