চেনা মুখেই পূর্বে টক্কর সিপিএমের

মানুষ তৃণমূলের চরিত্রটা বুঝে গিয়েছেন। সন্ত্রাস, খুন, তোলাবাজি দেখেছেন মানুষ। এ বার আমাদের পক্ষে রায় দেওয়ার জন্য তৈরি তাঁরা

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ১৬ মার্চ ২০১৯ ০৪:১৭
Share:

ঈশ্বরচন্দ্র দাস। নিজস্ব চিত্র

গত বারও পরস্পরের বিরুদ্ধে ময়দানে নেমেছিলেন তাঁরা। এ বারেও লড়াইটা সুনীল বনাম ঈশ্বর।

Advertisement

শুক্রবার লোকসভা ভোটে বর্ধমান পূর্ব কেন্দ্রের প্রার্থী হিসেবে ঈশ্বরচন্দ্র দাসের নাম ঘোষণা করেছে সিপিএম। এই কেন্দ্রটি তফসিলি জাতি সংরক্ষিত। গত লোকসভা ভোটে এখানেই তৃণমূলের চেয়ে এক লক্ষ ১৪ হাজার ৩৭৯ ভোটে পিছিয়েছিলেন তিনি।

৫৮ বছরের ঈশ্বরবাবু পেশায় ইতিহাসের শিক্ষক। ১৯৯১ সাল থেকে কাটোয়া রামকৃষ্ণ বিদ্যাপীঠে পড়ান তিনি। তারও দশ বছর আগে থেকে তিনি সিপিএমের সদস্য। তাঁর স্ত্রী বনানীদেবীও শিক্ষিকা। কাটোয়ার গৌরডাঙায় দীর্ঘদিন ধরে বসবাস তাঁদের। ঈশ্বরবাবু প্রথম ভোটে দাঁড়ান ১৯৯৩ সালে। সে বছর কাটোয়া ২ পঞ্চায়েত সমিতি থেকে জিতে খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ হন তিনি। পরে ১৯৯৮ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত টানা তিন বার জেলা পরিষদের আসনে জেতেন। তার আগে এসএফআই জেলা কমিটির সদস্য, ডিওয়াইএফ-এর জেলার সহ সভাপতি ছিলেন তিনি। কৃষক সংগঠনের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন।

Advertisement

২০১৪-র লোকসভা ভোটে বর্ধমান পূর্ব কেন্দ্র থেকে চার লক্ষ ৬০ হাজারের বেশি ভোট পেয়েছিলেন তিনি। জিততে না পারলেও পরে ২০১৬-র বিধানসভায় এক লক্ষ ১৪ হাজার থেকে ভোটের ব্যবধান কমে দাঁড়ায় ৬৮ হাজারে। নাম ঘোষণার পরে ঈশ্বরবাবুর দাবি, ‘‘২০১৪ সালের থেকে ‘১৯ সালে অনেক কিছু বদলে গিয়েছে। মানুষ তৃণমূলের চরিত্রটা বুঝে গিয়েছেন। সন্ত্রাস, খুন, তোলাবাজি দেখেছেন মানুষ। এ বার আমাদের পক্ষে রায় দেওয়ার জন্য তৈরি তাঁরা।’’

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

সিপিএম সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বার প্রার্থী বাছাইয়ের আলোচনা চলাকালীন তফসিলি জাতির পরিচিত মুখ হিসেবে প্রথমেই ঈশ্বরবাবুর নাম উঠে আসে। সর্বসম্মতিক্রমে পাশও হয়ে যায়। সিপিএম নেতৃত্বের দাবি, তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পরেও বরাবরই সরব থেকেছেন তিনি। বরাবর ভাল সংগঠকও তিনি।

সিপিএমের জেলা সম্পাদক অচিন্ত্য মল্লিক বলেন, ‘‘ঈশ্বর ভাল ছেলে। গত বারের ভোটে ভাল লড়াই দিয়েছিল।’’ আর প্রার্থীর কথায়, ‘‘তৃণমূল গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। তার বিরুদ্ধে রায় দেবেন মানুষ।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন