ভোটের মুখে কড়া পাহারা জলে-স্থলে

কাটোয়া রেলপুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে পূর্ব রেলের তরফে একটি নির্দেশিকায় জানানো হয়, যে সব স্টেশন অসম, বিহার, ঝাড়খণ্ড এবং ওড়িশার সীমানায় রয়েছে সেখান দিয়ে যাওয়া সমস্ত ট্রেনে বিশেষ নজরদারি চালাতে হবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাটোয়া শেষ আপডেট: ২৮ মার্চ ২০১৯ ০০:৪৫
Share:

কাটোয়ায় ভাগীরথীতে লঞ্চে পুলিশের নজরদারি। ছবি: অসিত বন্দ্যোপাধ্যায়

কেন্দ্রীয় বাহিনী এখনও আসেনি। তবে ভোটের মরসুমে ‘বহিরাগত’ আটকাতে কড়া নজরদারি শুরু করেছে প্রশাসন। ভিন্‌ রাজ্যের সীমানা ঘেঁষা স্থল, জল দু’পথেই চলছে পাহারা। খুঁটিয়ে তল্লাশি হচ্ছে ট্রেনেও।

Advertisement

কাটোয়া রেলপুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে পূর্ব রেলের তরফে একটি নির্দেশিকায় জানানো হয়, যে সব স্টেশন অসম, বিহার, ঝাড়খণ্ড এবং ওড়িশার সীমানায় রয়েছে সেখান দিয়ে যাওয়া সমস্ত ট্রেনে বিশেষ নজরদারি চালাতে হবে। হাওড়া, শিয়ালদহ, শিলিগুড়ি ও খড়গপুরের এসআরপিদের এই নির্দেশ পাঠানো হয়। হাওড়া ডিভিশনের অন্তর্ভুক্ত কাটোয়া স্টেশনের উপর দিয়েও দৈনিক বা সাপ্তাহিক ভিত্তিকে একাধিক আন্তঃরাজ্য ট্রেন চলাচল করে। নজর বেড়েছে সেগুলিতেও। যেমন, কাটিহার এক্সপ্রেস, রাধিকাপুর এক্সপ্রেস, কামরূপ, তিস্তা-তোর্সা রোজ ও কামাক্ষ্যা-পুরী এক্সপ্রেস প্রতি সোমবার কাটোয়া দিয়ে যায়। মূলত এই ট্রেনগুলিতেই অস্ত্র, বিষ্ফোরক, মদ, গাঁজা বা নির্বাচনের কাজে ব্যবহারের জন্য বেশি মাত্রায় নগদ টাকা বহন হচ্ছে কি না, তা তল্লাশি করা হচ্ছে।

রেলপুলিশের দাবি, ভোর হোক বা মাঝরাত, ট্রেন ঢুকলেই সূত্র মারফত তথ্যের ভিত্তিতে চার থেকে পাঁচ জনের দল তল্লাশি শুরু করে দিচ্ছেন। যদিও বুধবার বিকেল পর্যন্ত অবাঞ্ছিত কিছু মেলেনি বলেও জানিয়েছেন তাঁরা। গত ফেব্রুয়ারিতে তিস্তা-তোর্সা এক্সপ্রেসে সালার স্টেশনে ২৬ কেজি ৩০০ গ্রাম গাঁজা-সহ এক ব্যক্তি ও এক মহিলাকে গ্রেফতার করে জিআরপি। দুজনেই অসমের বাসিন্দা। পুলিশের দাবি, এই ধরনের আন্তঃরাজ্য ট্রেনে রাতের দিকে অবাঞ্ছিত সামগ্রী পাচারের প্রবণতা বেড়েছে অনেক। নজর রাখা হচ্ছে লোকাল ট্রেনেও। পুলিশের দাবি, কাটোয়ার সঙ্গে চার জেলার যোগাযোগ রয়েছে। দুষ্কৃতী বা পাচারকারীদের পছন্দের তালিকায় থাকে এমন জায়গা।

Advertisement

আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

ভাগীরথী পেরিয়ে নদিয়ায় পাচার রুখতে জলপথেও নজরদারি চালাচ্ছে পুলিশ। নদীপথে অস্ত্র বা মাদক পাচারের অভিযোগ প্রায়ই সামনে আসে। মাস দেড়েক আগে রাজ্য পুলিশের তরফে কাটোয়া থানাকে একটি লঞ্চ দেওয়া হয়। ভাগীরথীর পাড় ধরে কয়েক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে তাতেই টহল দিচ্ছে পুলিশ। নজরদারি চলছে কাটোয়া মহকুমার সব ফেরিঘাটেও। পুলিশের দাবি, ভোটের মুখে নদীর ধারে কোনও অস্থায়ী ঘাট তৈরি হলেও লঞ্চ থেকে নজরে পড়বে। সড়কপথেও ফুঁটিসাঁকো ছাড়াও বড়ডাঙা, পাঁচুন্দী, মঙ্গলকোটের লোচনদাস সেতু, নিগন মোড়ে নাকা তল্লাশি চালাচ্ছে প্রশাসনের ‘ফ্লাইং স্কোয়াড’ ও ‘স্ট্যাটিক সারভেলেন্স ফোর্স’। কাটোয়ার জিআরপি-র ওসি কুমার বিজয় সিংহ বলেন, ‘‘কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী কাজ চলছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন