সিপিএম, কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন জেলা স্তরের একাধিক নেতা। শুক্রবার বিকেল ৩টে নাগাদ তৃণমূলের মন্ত্রী তথা বর্ধমান জেলা পর্যবেক্ষক অরূপ বিশ্বাসের উপস্থিতিতে কংগ্রেসের প্রাক্তন জেলা সভাপতি মণ্ডল আজিজুল, গলসি ফরওয়ার্ড ব্লকের প্রাক্তন বিধায়ক মেহবুব মণ্ডল এবং সিপিএমের কাটোয়া ২ ব্লকের জেলা পরিষদের সদস্য সাহেবা খাতুন দলবল নিয়ে তৃণমূলে যোগ দেন। তাঁদের দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নে সামিল হতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। তৃণমূলের দাবি, জেলার বেশ কিছু পঞ্চায়েত সদস্যেরাও এ দিন তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।
অরূপবাবু বলেন, ‘‘দল বড় হচ্ছে। অনেক মানুষ আসছেন। মানুষের পাশে থাকাটাই আমাদের লক্ষ্য।’’ এর সঙ্গেই দলের নতুন, পুরনো নেতা-কর্মীদের সতর্কও করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘‘যাঁরা থাকছেন তাঁদের সেলাম জানাচ্ছি। কিন্তু এক বালতি দুধে চোনার মতো কেউ কেউ দলকে কলঙ্কিত করছেন। আমরা তাঁদের কোনও ভাবেই ক্ষমা করব না।’’ ১৪ সেপ্টেম্বর সিঙ্গুর দিবসের অনুষ্ঠানে জেলা থেকে দু’লক্ষ লোক নিয়ে যাওয়ার ডাক দেন তিনি। মণ্ডল আজিজুল বলেন, ‘‘১১টা লোকাল কমিটির নেতা-কর্মীরা তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।’’ বিভিন্ন ব্লক সভাপতি, শহর সভাপতিরা তাঁর সঙ্গে দল ছেড়ে এসেছেন বলে দাবি করেন প্রাক্তন বিধায়ক মেহবুব মণ্ডলও।
এ দিন জেলা পার্টি অফিসের বৈঠকে বর্ধমান উত্তর বিধানসভার জামার, নাড়িদাসপাড়ায় পরপর অশান্তি, দলের নানা পক্ষের গোলমাল নিয়েও সতর্ক করেন পর্যবেক্ষক। দিন সাতেক আগেই জামারে দু’দলের গোলমালে তৃণমূলের পার্টি অফিস-সহ তিন বাড়িতে আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটে। তার আগে দলের পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়িতে বোমা ছোড়ার ঘটনাও ঘটে। এ দিন বোমা ছওড়ার ঘটনায় তৃণমূলের বৈকুণ্ঠপুর ২ অঞ্চল সভাপতি নাসিরুল ইসলামকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। আদালতে তোলা হলে পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজত দেন বিচারক।