মামরা বাজার সর্বজনীন পুজো মণ্ডপে ভিড়। — বিশ্বনাথ মশান
কেউ চান দর্শকদের ‘পরিবেশ’ রক্ষার আবেদন জানাতে, কেউ বা দর্শককে নিয়ে যেতে চান রাজস্থান বা অমরনাথের মন্দিরে।— থিমের লড়াইয়ে এ ভাবেই একে অপরকে টেক্কা দিতে চাইছেন দুর্গাপুরের বিভিন্ন পুজো কমিটির উদ্যোক্তারা।
দর্শকদের মাথার উপরে ছায়া বিছোতে চেয়েছে সিটি সেন্টারের ক্ষুদিরাম সরণির সিমেন্ট পার্কের পুজো। শিল্পী চঞ্চল আচার্যের হাতে ৪৩ বছরের এই পুজোর মণ্ডপ এ বার সেজেছে ছাতার আদলে। সঙ্গে রয়েছে মানানসই আলোকসজ্জা। পুজোর উদ্যোক্তা একটি বেসরকারি সিমেন্ট সংস্থার সদস্যরা। তবে পুজোতে যোগ দেন এলাকার বাসিন্দারাও।
ইস্পাত নগরীর ডেভিড হেয়ার মোড় পুজো কমিটির থিম ‘পরিবেশ ও জাতীয় পাখি ময়ূর’। উদ্যোক্তাদের দাবি, দূষণ প্রতিরোধ এবং ‘বন্যেরা বনে সুন্দর..’ এই ভাবনা থেকেই এ বারের থিম বেছে নেওয়া হয়েছে। ৪৮-এ পা দেওয়া এই পুজোর মণ্ডপে ঢুকলেই দর্শকেরা ফিরে পাবেন প্রকৃতি-পরিবেশের ছোঁয়া। উদ্যোক্তাদের সূত্রে জানা গেল, মণ্ডপসজ্জায় ব্যবহার করা হয়েছে গাছের ছাল, তুলো, পাট, চট প্রভৃতি ‘পরিবেশ-বান্ধব’ উপকরণ।
গোপালমাঠ যুবমহল সর্বজনীন পুজো কমিটি দর্শকদের নিয়ে যেতে চেয়েছে রাজস্থানের জালোর জেলার বিষাণগড় গ্রামের কৈলাশ ধাম শিব মন্দিরে। আর তা করতে গিয়ে মণ্ডপে রয়েছে পাহাড় এবং ৫২ ফুটের শিবমূর্তি। বাঁশ, পাট, প্লাস্টার অফ প্যারিস প্রভৃতি দিয়ে তৈরি হয়েছে মণ্ডপ। পুজো-পরিক্রমা করলে দর্শকেরা দেখতে পাবেন ‘পরেশনাথ মন্দির’ও। সৌজন্যে বিধাননগর হাউসিং আদিবেদী সর্বজনীন পুজো কমিটির মণ্ডপ। উদ্যোক্তাদের দাবি, ৪৭-এ পা দেওয়া তাঁদের এই পুজো নিশ্চিত ভাবেই দর্শকদের ভাল লাগবে। অন্যদের টেক্কা দিতে মামরা বাজার সর্বজনীন পুজো কমিটির এ বারের তুরুপের তাস ‘অমরনাথর মন্দির’।
থিমের টক্করে একে অপরকে ছাপিয়ে যাওয়ার লড়াইয়ের শরিক হতে মহাষষ্ঠী থেকেই দর্শকেরাও ভিড় জমাচ্ছেন এই মণ্ডপগুলিতে।